২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে আফ্রিকার উপ-আঞ্চলিক বাছাইপর্বের ম্যাচ চলছে। যেখানে জিম্বাবুয়ের রান উৎসব চলছেই। এবার সেই রান উৎসবে নিজেদের দলীয় সর্বোচ্চ তো বটেই, একই সঙ্গে আর্ন্তজার্তিক টি-টোয়েন্টি রান সংগ্রহের বিশ্বরেকর্ড করে ইতিহাস গড়েছেন জিম্বাবুয়ে। আজ নাইরোবিতে বিশ্বকাপ বাছাইতে গাম্বিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে সিকান্দার রাজার ৪৩ বলে বিধ্বংসী ১৩৩ রানের ইনিংসে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৪৪ রান তুলেছে জিম্বাবুয়ে। যা স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে রান সংগ্রহে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এটিই।
সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে আগে সর্বোচ্চ ৩১৪ রান ছিলো নেপালের। যা এতদিন ছিলো সর্বোচ্চ। ২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে করে তারা। এখন নেপালকে দ্বিতীয়তে ফেলে ৩৪৪ রান করে এই তালিকার শীর্ষে জিম্বাবুয়ে।
বিজ্ঞাপন
টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলগত স্কোর
১. জিম্বাবুয়ে – ৩৪৪/৪ বনাম গাম্বিয়া, অক্টোবর ২০২৪
২. নেপাল – ৩১৪/৩ বনাম মঙ্গোলিয়া, সেপ্টেম্বর ২০২৩
৩. ভারত – ২৯৭/৬ বনাম বাংলাদেশ, অক্টোবর ২০২৪
৪. জিম্বাবুয়ে – ২৮৬/৫ বনাম সেশেলস, অক্টোবর ২০২৪
৫. আফগানিস্তান – ২৭৮/৩ বনাম আয়ারল্যান্ড, ফেব্রুয়ারি ২০১৯
আগে ব্যাট করতে নেমে পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রান করে জিম্বাবুয়ে। যা টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পাওয়ারপ্লেতে রান তোলার। ইনিংসের শুরুতেই ব্রায়ান বেনেটের ৫০ এবং তাদিওয়ানাশে মারুমানির ১৯ বলে ৬২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস দলকে মজবুত ভিত দেয়।
এরপর মাঠে আসেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা, যিনি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন। মাত্র ৩৩ বলে সেঞ্চুরি করে তিনি টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের যুগ্মভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড করেন। এছাড়া ক্লাইভ মাডান্ডেও অপরাজিত অর্ধশতক করেন তাতে জিম্বাবুয়ে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৪৪ রান করে।
যা তাদের ক্রিকেট বিশ্বে নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে। এদিকে জিম্বাবুয়ে মোট ২৭টি ছক্কা হাঁকায়, যা এই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড।

