চন্ডিকা হাথুরুসিংহে দ্বিতীয় মেয়াদে কোচ হয়ে বাংলাদেশে আগমন করেন ২০২৩ সালে। লঙ্কান এই কোচের আগমনে গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম; সব জায়গাতেই ছিল আলোচিত। দলের তৎকালীন অবস্থায় রাসেল ডমিঙ্গোর স্থলাভিষিক্ত হওয়া হাথুরুসিংহে সবার কাছে ছিলেন আশীর্বাদ স্বরূপ। তবে মুদ্রার উল্টোপিঠ দেখতে খুব একটা দেরি হয়নি। বিশেষ করে ২০২৩ বিশ্বকাপের ভরাডুবি, একই সঙ্গে গায়ে হাত তোলার মতো ঘটনার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
এরপর শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ব্যাপক রদবদল ঘটে। নাজমুল হাসান পাপনের পরিবর্তে প্রেসিডেন্ট পদে স্থলাভিষিক্ত হন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। ফারুক প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তার বক্তব্যে হাথুরুসিংহেকে সরানোর দাবি আরও জোরালো হয়।
বিজ্ঞাপন
কিন্তু মাঝে পাকিস্তানের মাঠে ২-০তে সিরিজ জয়ে, তার ভবিষ্যৎ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌছাইতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। ভারত সফরে হাথুরুকে সুযোগ দিলেও এখন আর থাকা হচ্ছে না তাঁর। চাকরি গেল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের। তার বিকল্প হিসেবে জাতীয় দলের নতুন কোচ ক্যারিবিয়ান ফিল সিমন্স।
আজ মিরপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে হাথুরুকে ছাঁটাইয়ের খবরটি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘দ্রুততম সিদ্ধান্তে বরখাস্ত করা হলো হাথুরুকে।’ বিসিবি সভাপতি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব হিসেবে যেহেতু খবরটা দেশের বাইরে যাবে, আন্তর্জাতিক আইন মেনে ৪৮ ঘণ্টা নোটিশ করেছি। এটা ইমিডিয়েট এফেক্টে সাসপেন্ড, এরপর বিদায়।’
এদিকে হাথুরুর চুক্তির মেয়াদ ছিল ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত। তার বিকল্প হিসেবে জাতীয় দলের নতুন কোচ হচ্ছেন ক্যারিবিয়ান ফিল সিমন্স। আর তার সঙ্গে চুক্তিটা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত। ফিল সিমন্সকে প্রায় ১০০ দিনের চুক্তিতে অন্তবর্তীকালীন কোচ হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। হাথুরুকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তের সময় এমনটায় জানান বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ।
ফিল সিমন্স এখন পর্যন্ত আফগানিস্তান ক্রিকেট দল, ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের সঙ্গে প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। এ ছাড়াও তাকে বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি লিগেও কাজ করতে দেখা গেছে।