অলিম্পিকের সম্ভবত শ্রেষ্ঠ দ্বৈরথ ছিল আজ। রোলাঁ গারোর লালমাটিতে আজ ৬০তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলেন টেনিসের দুই তারকা নাদাল-জোকোভিচ। এককালে যে মহারণ উইম্বলডন থেকে ফরাসি ওপেন রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করাত দর্শকদের, আজ সেই লড়াইয়ের আশাতেই কোর্টে ভিড় উপচে পড়েছিল। যে ম্যাচে নাদাল ও জোকোভিচের লড়াই দেখতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না গারোর লালমাটির টেনিস ময়দানে। যেখানে নাদালকে হারিয়ে শেষ হাসি হাসেন জোকোভিচ।
দুই টেনিস তারকার এই দ্বৈরথকে স্বপ্নের লড়াই বলা হচ্ছিল। রোলাঁ গারোয় পুরুষদের টেনিসে দ্বিতীয় রাউন্ডে ২২টি গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী রাফায়েল নাদালের মুখোমুখি হয়েছিলেন ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যামজয়ী নোভাক জোকোভিচ। দুই তারকার লড়াই ঘিরে তুঙ্গে ছিল উত্তেজনা। সেই লড়াইয়ে নাদালকে ৬-১,৬-৪ এ হারিয়ে পরের রাউন্ডে জায়গা করে নিলেন জোকার।
বিজ্ঞাপন
এদিন গারোর লালমাটিতে প্রথম সেটে একেবারে মেজাজে ছিলেন সার্বিয়ার মহাতারকা। ৬-১ উড়িয়ে দিয়েছেন নাদালকে। একবারের জন্যও মনে হয়নি, কোনও অস্বস্তিতে আছেন জোকার। যদিও জোকোভিচেরও বাঁ পায়ে ছিল ব্যান্ডেজ। সবেমাত্র মে মাসের ফরাসি ওপেনের মাঝপথে অস্ত্রোপচার করিয়েছেন পায়ে। ফিরে এসেছেন তারপর, উইম্বলডনে। প্রায় অতিমানবীয় পারফর্ম করে পৌঁছেছেন ফাইনালে। শেষে অবশ্য কার্লোস আলকারাজের কাছে থামতে হয় জোকারকে।
কিন্তু দ্বিতীয় সেটে গিয়ে নাদাল বোঝাতে শুরু করেন রোলাঁ গারোর মাঠে তাঁর সাম্রাজ্য তিনি বিনা যুদ্ধে ছাড়বেন না। দুই ব্রেক পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় সেটে পাল্লা সমান করে দেন নাদাল। ৪-০ পিছিয়ে থেকে ৪-৪ করেন তিনি। তিনি 'অ্যাডভান্টেজ' পেতেই উত্তাল হয়ে উঠছে গ্যালারি। কিন্তু তাতেও সার্বিয়ার তারকাকে শেষ অবধি আটকাতে পারেননি।
বিজ্ঞাপন
শেষ পর্যন্ত ৬-১, ৬-৪ স্কোরে নাদালকে হারিয়ে শেষ হাসি হাসলেন নোভাক জোকোভিচ। চলে গেলেন পরের রাউন্ডে। একই সঙ্গে জিইয়ে রাখলেন প্যারিস অলিম্পিক সিঙ্গলসে সোনা জেতার স্বপ্ন।