মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার মিশনে আমির

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ মে ২০২৪, ০৮:৫৮ এএম

শেয়ার করুন:

অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার মিশনে আমির

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেই তারকা বনে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ আমির। পাকিস্তান দলের বোলিং আক্রমণের সামর্থ্য বাড়িয়ে দিয়ে নিজেকে খ্যাতির চূড়ায় নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তবে এরপরই জড়িয়ে পড়েন স্পট ফিক্সিংয়ে। ২০১০ সালে লর্ডস টেস্টে ফিক্সিং জড়িয়ে পাঁচ বছরের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হন এই ক্রিকেটার।

নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে অবশ্য আবারও ক্রিকেটে ফিরেছিলেন পাকিস্তানের এই পেসার। জাতীয় দলের জার্সিতে আবার ফিরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয় করেন তিনি। তবে এরপর বাজে ফর্মের কারণে দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। জাতীয় দলে জায়গা হারিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকেই অবসরে চলে যান আমির।


বিজ্ঞাপন


তবে অবসর ভেঙে আবার আন্তির্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন আমির। গত মাসে অনুষ্ঠিত হওয়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে ছিলেন তিনি। আসন্ন বিশ্বকাপের আগে আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলেও আছেন তিনি। ১৮ জনের এই দল থেকেই ঘোষণা করা হবে ম্যান ইন গ্রিনদের বিশ্বকাপ স্কোয়াড।

এদিকে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা আমির বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্কাহতকারে জানিয়েছেন, নিজের অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে চান তিনি। আমির বলেন, ‘পাকিস্তানের হয়ে আবারও খেলতে পারার অনুভূতিটা দারুণ। আমি অসম্পূর্ণ কাজটা শেষ করতে চাই, আর আমার কাছে স্বল্পকালীন লক্ষ্য হলো বিশ্বকাপ জেতা।’

আবার তাঁকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট তাঁর প্রতি যে আস্থা দেখিয়েছে তিনি তাঁর প্রতিদান দিতে চান বলেও জানা আমির, বলেন, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবং টিম ম্যানেজমেন্ট আমার প্রতি আস্থা রেখেছে। আমাকে এই আস্থার প্রতিদান দিতে হবে। চার বছর পর (জাতীয় দলে) ফিরেছি, আর জাতীয় দলে খেলার অনুভূতিটা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।’

আগের চেয়ে এখন নিজেকে আরও বেশি ফিট বলেও মনে করেন এই পেসার। তিনি বলেন, ‘সত্যি বলতে ২০১৯ সালের তুলনায় নিজেকে এখন আরও বেশি ফিট মনে হচ্ছে। ফিট না হলে তো নিজের পারফরম্যান্সটা করা যায় না। তাই আমি এখন আরও ভালো করতে প্রস্তুত।’


বিজ্ঞাপন


আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেই ২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় করেছিলেন আমির। সে স্মৃতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘২০০৯ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয় বিশেষ স্মৃতি। এখনো রোমাঞ্চ লাগে। প্রথমবারের মতো ডাক পেয়েই চ্যাম্পিয়ন দলের অংশ হয়েছিলাম। রাওয়ালপিন্ডি বিমানবন্দর থেকে নিজের গ্রামে ফেরার পথে অনেক গাড়ি থেকে বৃষ্টির মতো ফুল ছোড়া হয়েছিল। আমি ভাগ্যবান যে এখনো খেলছি। দলে যখন প্রথম এসেছিলাম, তখন আমিই ছিলাম সর্বকনিষ্ঠ। এবার আরেকটি সুযোগ পাচ্ছি বিশ্বকাপ জয়ের। এটাই আমার এবং দলের লক্ষ্য।’

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর