লিওনেল মেসি, নেইমার জুনিয়র, কিলিয়ান এমবাপে। এই নামগুলো যদি হয় কোন দলের আক্রমণভাগ তবে সেই দল আর যাই হোক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে এমনটা বিশ্বাস করা কঠিন। তবে আদতে ঘটেছে তেমনটাই। মেসি, রামোসদের মত তারকাদের দলে ভিড়িয়েও গত মৌসুমে ১৯২ মিলিয়ন (২০৫২ কোটি টাকা) গচ্চা গেছে ফরাসি জায়ান্টদের!
এই বিশাল ক্ষতির কারণ খুঁজতে গেলে সবার আগে সামনে আসবে টিকিট বিক্রি হ্রাস। মেসি-নেইমারদের মতো তারকারাও পারছেন না দর্শক টানতে। পাশাপাশি তারার হাঁট বসিয়ে বেতন বাবদ ব্যয়ও বাড়িয়ে ফেলেছে কাতারের ক্লাবটি। খেলোয়াড়দের বেতন দিতে গিয়েই গত মৌসুমে পিএসজি খরচ করেছে ৪৩১ মিলিয়ন পাউন্ড। এদিকে টিকিট বিক্রি থেকেও আয় কমেছে প্রায় ৩১ মিলিয়ন পাউন্ড।
বিজ্ঞাপন
বছরপ্রতি রেকর্ড ৪১ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে মেসি। নেইমার ও এমবাপেও কম যান না। তারা বছরপ্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ৩৭ ও ২৫ মিলিয়ন ইউরো।
সাদা চোখে মেসিদের দলের এই বেতন আহামরি মনে না হলেও একটি ছোট উদাহরণ দিলেই স্পষ্ট হবে ফরাসি জায়ান্টদের বেতন বিলাস। লিগ ওয়ানের ১৪টি দলের মোট বেতন বাবদ ব্যয়কেও ছাড়িয়ে গেছে পিএসজির বেতন খরচ!
প্রথম একাদশের জন্য একগুচ্ছ তারকাকে সাইন করিয়েই মূলত নিজেদের ব্যয় বাড়িয়ে ফেলেছে তারা। মেসি-রামোস ছাড়াও পিএসজি আরও দলে টেনেছে জর্জিও ওয়াইনাল্ডাম, আশরাফ হাকিমি, নুনো মেন্দেস, জিয়ানলুইজি ডোনারুমাদের।
এই বিশাল ক্ষতির কারণ খুঁজতে গেলে সবার আগে সামনে আসবে টিকিট বিক্রি হ্রাস। মেসি-নেইমারদের মতো তারকারাও পারছেন না দর্শক টানতে। পাশাপাশি তারার হাঁট বসিয়ে বেতন বাবদ ব্যয়ও বাড়িয়ে ফেলেছে কাতারের ক্লাবটি। খেলোয়াড়দের বেতন দিতে গিয়েই গত মৌসুমে পিএসজি খরচ করেছে ৪৩১ মিলিয়ন পাউন্ড। এদিকে টিকিট বিক্রি থেকেও আয় কমেছে প্রায় ৩১ মিলিয়ন পাউন্ড।
আরও একটি কারণ হতে পারে এই মূহুর্তে লিগ ওয়ানে সবচেয়ে বেশি বেতন গ্রহণ করা তিন খেলোয়াড়ের পিএসজি দলে উপস্থিতি। বছরপ্রতি রেকর্ড ৪১ মিলিয়ন ইউরো নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে মেসি। নেইমার ও এমবাপেও কম যান না। তারা বছরপ্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ৩৭ ও ২৫ মিলিয়ন ইউরো।

ফরাসি গণমাধ্যমের দাবি বাৎসরিক রেকর্ড ৫০ মিলিয়ন ইউরো বেতনের পাশাপাশি ১০০ মিলিয়ন ইউরো সাইনিং বোনাস পাবেন এই যুব তারকা! এত কিছুর পরও এমবাপেকে আটকাতে পারবে কিনা পিএসজি তা সময়ই বলবে। তবে সব শেষে একটাই প্রশ্নই ঘুরেফিরে আসে। আদৌ কি পিএসজি কোনদিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারবে?
লিগ শিরোপা জিতলেও পিএসজির ওপর বেশ নাখোশ সমর্থকরা। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে টানা ব্যর্থ দলটির কোচ পচেত্তিনোর ওপরও ক্ষিপ্ত ভক্তরা। দুর্বল প্রতিপক্ষের ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে একের পর এক লিগ শিরোপা জিতে আর খুশি করা যাচ্ছে না ভক্তদের। এতটাই ক্ষেপে আছে ভক্তরা যে তারা লিগ শিরোপা জয়ও উদযাপন করেনি মেসি-রামোসদের সঙ্গে।
এর আগে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বাদ পড়ার পর লিগ ম্যাচে সমর্থকদের তোপের মুখে পড়েছিলেন মেসি-নেইমার। বোরডাওয়ের বিপক্ষে যতবারই বল ছুঁয়েছেন এই দুই তারকা ভেসে এসেছে ‘বু’ ধ্বনি।
এদিকে দলের সবচেয়ে বড় তারকা মেসিও নেই সুখে। নতুন শহরে এখনও মানিয়ে নিতে পারেননি আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। গোল করতে না পারলেও মেসির দারুণ অ্যাসিস্ট ও প্লে মেকিং রোল থেকে যাচ্ছে সবার চোখের আড়ালে। এদিকে এমবাপের রিয়াল যাত্রাও প্রায় নিশ্চিত। তাকে আটকাতে সব রকম চেষ্টাই করছে পিএসজি।
ফরাসি গণমাধ্যমের দাবি বাৎসরিক রেকর্ড ৫০ মিলিয়ন ইউরো বেতনের পাশাপাশি ১০০ মিলিয়ন ইউরো সাইনিং বোনাস পাবেন এই যুব তারকা! এত কিছুর পরও এমবাপেকে আটকাতে পারবে কিনা পিএসজি তা সময়ই বলবে। তবে সব শেষে একটাই প্রশ্নই ঘুরেফিরে আসে। আদৌ কি পিএসজি কোনদিন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারবে?
এআইএ

