টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রাপ্তির সংখ্যা কম। নেই তেমন কোনো সাফল্যগাঁথা। বড় দলগুলোর বিপক্ষে কোনো জয় এখনো রূপকথা! ওই রূপকথার গল্পে নতুন সংযোজন ঘরের মাঠে কিউইদের হারানো। সিলেট টেস্টে ব্যাটে বলে দাপট দেখিয়ে কিউইদের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো ঘরের মাঠে ১৫০ রানের বিশাল জয় পায় টাইগাররা। বাংলাদেশের এমন জয়ের দিন রেকর্ডের পাতায় স্থান করে নিয়েছেন টাইগার দলপতি নাজমুল হোসেন শান্ত।
সিলেট টেস্টে বাংলাদেশের নিয়মিত অধিনায়ক চোটের জন্য খেলতে পারেননি। সেখানে সহ-অধিনায়ক লিটন দাসের ঘাড়ে আসে নেতৃত্বের ভার। তবে পারিবারিক সমস্যার জন্য এই ডানহাতি উইকটরক্ষক-ব্যাটার ছুটি নেন। ফলে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে অধিনায়কের দায়িত্ব এসে পড়ে শান্তর ওপর। আর সে সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই করে নিলেন এ টাইগার ব্যাটার।
বিজ্ঞাপন
অধিনায়কত্বের অভিষেক টেস্টে জয় পাওয়া বাংলাদেশের চতুর্থ ক্রিকেটার হলেন শান্ত। ২০০৯ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে এই কীর্তি গড়েন সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। মাশরাফির পর একই সিরিজে এমন কীর্তি গড়েন সাকিব আল হাসান। ইনজুরির কারণে মাশরাফি ছিটকে পড়লে নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয় সাকিবের হাতে। সুযোগ পেয়েই সেবার ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
সেই সঙ্গে অভিষেক অধিনায়ক হিসেবে জয়ের তালিকায় নিজেকে দ্বিতীয় স্থানে লেখান টাইগার অলরাউন্ডার। মাশরাফি ও সাকিবের এমন কীর্তির ১৪ বছর পর এই তালিকায় যুক্ত হন উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাস। চলতি বছরের জুনে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে বাংলাদেশের ১২তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামেন লিটন। তার নেতৃত্বে অভিষেকেই মিরপুরে আফগানিস্তানকে ৫৪৬ রানে হারায় বাংলাদেশ। যেটি রানের ব্যবধানে নিজেদের ইতিহাসে টেস্টে সবচেয়ে বেশি ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড।
এদিকে এ বছরে ১৩তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সিলেটে আজ শান্তর নেতৃত্বে ১৫০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচের জয় দিয়ে অধিনায়কত্বের অভিষেক টেস্টে জয় পাওয়া বাংলাদেশের চতুর্থ ক্রিকেটার হলেন শান্ত। অন্যদিকে এ ম্যাচে আরও এক কীর্তি গড়েন টাইগার অধিনায়ক। বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে অধিনায়কত্বের অভিষেকে প্রথম সেঞ্চুরিয়ানও তিনি।

