সিলেট টেস্টে প্রথম দুইদিন নিউজিল্যান্ডকে আটকে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তৃতীয় দিনের সকালে বদলে যায় দৃশ্যপট ৩১৭ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। যেখানে বাংলাদেশের লিড পাওয়ার কথা সেখানে উল্টো ৭ রানের লিড পায় কিউইরা। এদিকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে নাজমুল হাসান শান্তর সেঞ্চুরিতে ৩৩৮ রানে গুটিয়ে যায় টাইগাররা। এতে কিউইদের সামনে ৩৩২ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুড়ে দিল টাইগাররা।
২০৫ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে ১০৫ রানে অপরাজিত থাকা শান্ত হতাশ করেন চতুর্থ দিনে। কোনো রান যোগ না করেই ফেরেন সাজঘরে। এরপর অভিষিক্ত শাহাদাত হোসেন দিপুকে নিয়ে জুটি গড়েন মুশফিক। তবে দ্রুতগতিতে রান তুলতে গিয়ে ইশ সোধির ঘূর্ণিতে লেগ বিফরের ফাঁদে পড়েন দিপু। পঞ্চম উইকেটে ৩৪ রানের জুটি গড়ে দিপু ১৮ রানে বিদায় নিলে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ।
বিজ্ঞাপন
এরপর উইকেটে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সেখান থেকে মিরাজকে সাথে নিয়ে এগিয়ে যান মুশফিক। সেই সঙ্গে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন মুশি। কিন্তু দলীয় ২৭৮ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬৭ রানে মুশফিক বিদায় নিলে দ্রুত সাজঘরে ফেরেন সোহানও।
সতীর্থদের বিদায়ের দিনে দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৩২ রানে অপরাজিত থেকে লাঞ্চ বিরতিতে যান মিরাজ।বিরতি থেকে ফিরেই জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১১ বলে ৪ রান করে নাইম হাসান ও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান তাইজুল ইসলাম। তবে একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে ৭৬ বলে ফিফটি তুলে নেন মিরাজ।
শেষ ব্যাটার হিসেবে শরিফুল আউট হলে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৮ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ফলে প্রথম টেস্ট জিততে কিউইদের সামনে ৩৩২ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়।

