২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের টিকিট নিশ্চিতে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা। লাতিন আমেরিকার এ দুই দেশের লড়াই মানেই যে উত্তাপ-উত্তেজনা তার প্রমাণ মিলেছে আরও একবার। দারুণ একটা লড়াই দেখার অপেক্ষায় ছিল আর্জেন্টিনা এবং ব্রাজিলের সমর্থকরা। অবশ্য নান্দনিক ফুটবলের চাইতে ফাউল এবং মাঠের বাইরের লড়াইয়ের কারণেই বেশি আলোচিত হয়েছে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই দলের মধ্যকার ম্যাচটি। তবে সুপার ক্লাসিকোর এই লড়াইয়ের পর গুরুতর এক অভিযোগ উঠেছে পেরু-ভেনেজুয়েলা ম্যাচ নিয়ে।
বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে লিমায় ২০২৬ বিশ্বকাপ দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চলের বাছাইয়ে পেরুর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ভেনেজুয়েলা। তবে ম্যাচ শেষে এক অভিযোগ তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
বিজ্ঞাপন
ভেনেজুয়েলা অভিযোগ করেছে পেরু–ভেনেজুয়েলা ম্যাচের পর পেরুভিয়ান পুলিশ পিটিয়েছে তাদের ফুটবলারদের। শুধু তা–ই নয়, ভেনেজুয়েলান ফুটবল দলের বিমান আটকে রাখার অভিযোগ করে বলেছে খেলোয়াড়দের ‘অপহরণ’ করেছিল পেরুভিয়ানরা।

বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলার খেলোয়াড়েরা অভিযোগ করেছেন ম্যাচ শেষে দর্শকদের অভিবাদনের জবাব দেওয়ার সময় পেরুর পুলিশ তাঁদের পিটিয়েছে। পেরু থেকে ভেনেজুয়েলার খেলোয়াড়দের বহনকারী উড়োজাহাজ উড্ডয়নে দেরি করেছে।
এএফপি আরো জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের প্রায় চার ঘণ্টা পর ভেনেজুয়েলার খেলোয়াড়দের বহনকারী রাতাকা এয়ারলাইনের উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করে। ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বলেছেন, ‘পেরুর বর্ণবাদী অভিজাতেরা আমাদের চমৎকার দলটির প্রতি (জেনোফোবিয়া) বিদ্বেষমূলক মনোভাব পোষণ করছে। অন্য দেশের নাগরিকের প্রতি বিদ্বেষমূলক মনোভাব এবং সহিংসতার বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার ভেনেজুয়েলা।’
দক্ষিণ আমেরিকান বাছাইয়ে গত মঙ্গলবার রাতটি ছিল বিতর্কিত ও সহিংসতাপূর্ণ। যেখানে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচের মাঝেও ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে, সুপার ক্লাসিকোর তুমুল আলোচিত ম্যাচের পরই ভেনেজুয়েলার ফুটবলারদের অপহরণের অভিযোগ যা রীতিমত নেট দুনিয়ায় তোলাপড় সৃষ্টি করেছে। তবে এসব ফিফা এখনো ভেনেজুয়েলা-পেরু ম্যাচ নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য দেয় নি।
