বড় ম্যাচের ক্রিকেটার ট্রাভিস হেড- অস্ট্রেলিয়ান এই ব্যাটারের জন্য এই তকমাটিই প্রযোজ্য হয়ে ওঠেছে। দলের বড় কোনো অর্জনের দিনেই যে ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন তিনি, প্রতিরোধ গড়ে সৃষ্টি করেন দাপুটে জয়ের পথ। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল, নিজের কাজটা ঠিকভাবে করেছেন হেড। নক আউট ম্যাচে প্রতিপক্ষের স্বপ্ন ভাঙাকে যেন অভ্যাসেই পরিণত করেছেন তিনি। আর হেডের কাছে সবথেকে বেশি কপাল পুড়েছে ভারতেরই।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সাদা পোশাকে হোক কিংবা রঙিন পোশাক- এই বছরটা দুর্দান্ত কাটিয়েছেন হেড। এইতো এ বছরের মাঝামাঝিতেই, বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল অস্ট্রেলিয়া।
বিজ্ঞাপন
সে ম্যাচে ভারতীয় বোলারদের তোপে শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়েছিল অজিরা। তবে এরপরই স্বীয় ভূমিকায় আবির্ভূত হন হেড। স্টিভ স্মিথকে নিয়ে তিনি গড়েন ২৯৫ রানের এক জুটি। ব্যক্তিগত ১৬৩ রানে তিনি সাজঘরে ফিরলেও অজিদের স্কোরবোর্ডে তখন ৪৬৯ রান। শেষ পর্যন্ত ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়াই।
এরপর গতকাল আবারও হেডের কাছেই পুড়ল ভারতের। মোহাম্মদ শামি-জস্প্রীত বুমরাহদের তোপে সাত ওভারে মাত্র ৪৭ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে গিয়েছিল অজিরা। তবে দলকে বিপদ থেকে রক্ষা করেছেন হেড।
মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে এরপর গড়েছেন ১৯২ রানের এক জুটি। এ জুটিতেই কাল ভারতকে হারিয়ে শিরোপা নিশ্চিত করে অস্ট্রেলিয়া। আর ভারতের জন্য আরও একবার দুঃস্বপ্ন হয়েই আবির্ভূত হন হেড।
অথচ এবারের বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন কিনা সে নিশ্চয়তাই ছিল না হেডের। আসর শুরুর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে চোটে পড়েন তিনি। তবুও তাকে স্কোয়াডে রেখেছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট। শেষ পর্যন্ত সেরে ওঠে আবার দলে ফিরেছেন তিনি। বিশ্বকাপে অভীষেক ম্যাচে খেলতে নেমেই করেছেন সেঞ্চুরি, দলের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন খুব ভালোভাবেই।
বিজ্ঞাপন