আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপ-২০২৩ এ অংশ নিতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল নিয়ে সাকিব আল হাসান ভারতের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন গতকাল। ইতিমধ্যে টাইগাররা পৌঁছে গেছে দেশটিতে। তবে দেশ ছাড়ার আগে দেশের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে গত কয়েকদিনের ঘটনাপ্রবাহ সহ যাবতীয় আরও কিছু বিষয় নিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন সাকিব। সেখানে এক মন্তব্যে তিনি বলেন, দলের প্রয়োজনে যে কারও যেকোনো পজিশনে খেলতে রাজি থাকা উচিত।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে তামিমকে মিডল অর্ডারে খেলার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল বলে গতকাল জানিয়েছেন তামিম নিজেই। সাকিবের সাক্ষাতকারেও কাল প্রশ্ন করা হয়েছিল এ বিষয় নিয়ে।
বিজ্ঞাপন
এ ব্যাপারে সাকিব কিছু জানেন কিনা প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, 'আমি যেটা বললাম এটা আমার সঙ্গে কোনো আলোচনাই হয় নাই। তো এই প্রশ্ন কোথা থেকে আসছে আমি জানি না। আর যদি কেউ এমন কিছু বলে থাকে, আমি নিশ্চিত যেই বলেছে সে অথরাইজ মানুষ, এটা আগে থেকেই আলাপ করে রাখছিল যাতে করে সেটা জানা থাকলে দুই পক্ষের জন্যই ভালো হয়। এই রকম বলাতে খারাপ কিছু আছে আমি তো মনে করি না। এটা কেউ তো খারাপের জন্য বলবে না আমি নিশ্চিত।'
তবে টিম কম্বিনেশনের কথা চিন্তা করে কেউ যদি এরকম আলোচনা করেও থাকলে তাতে দোষের কিছু নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। সাকিব বলেন, 'আমি নিশ্চিত এই কথাটা কেউ বলে থাকে সে টিমের কথা চিন্তা করেই বলেছে যে এরকম যদি আমরা কম্বিনেশন করি, এই রকম যদি আমরা চিন্তা করি এমন অনেক কিছুই আসে একটা ম্যাচকে কেন্দ্র করে। এ রকম কম্বিনেশন বানালে কি হতো, এ রকম কম্বিনেশন বানালে কি হতো। ওই হিসেবে কেউ যদি চিন্তা করে আগের থেকেই ক্লারিফিকেশন করে রাখতে চায় আমার তো মনে হয় যে আলোচনার কোনো দোষের আছে। এমন প্রস্তাব যদি কেউ দিয়ে থাকে এটাতে কি কোনো দোষের আছে? নাকি এমন কোনো প্রস্তাবই দেওয়া যাবে না যে একজনকে আমি বলব তুমি তোমার যা ইচ্ছা কর।'
ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মার সাত নম্বর থেকে উঠে ওপেনিংয়ে এসে দশ হাজার রান করার প্রসঙ্গ টেনে সাকিব বলেন, 'টিম আগে না, ব্যক্তি আগে। রোহিত শর্মার মতো খেলোয়াড় নম্বর সাত থেকে ওপেনার হিসেবে ১০ হাজার রান করে ফেলছে। ও যদি মাঝে মাঝে তিন চারে নামে বা ব্যাটিংয়ে না নামে এটা কি খুব একটা প্রবলেম হয়। এটা আমার কাছে মনে হয় একদম বাচ্চা মানুষের মতো যে আমার ব্যাট আমিই খেলব আর কেউ খেলতে পারবে না। জিনিসটা হচ্ছে এমন। টিমের প্রয়োজনে যে কেউ যে কোনো জায়গায় খেলতে রাজী থাকা উচিত। এটা টিম প্রথমে, আপনি ব্যক্তিগতভাবে ১০০ করলেন ২০০ করলেন টিম হারল তাতে কিছুই আসে যায় না।'
সাকিব আরও বলেন, 'পারসোনাল এচিভমেন্ট দিয়ে আপনি কি করবেন আসলে। আপনার নিজের নাম কামাবেন, তার মানে আপনি নিজের কথা চিন্তা করছেন। আপনি দলের কথা চিন্তা করছেন না। আপনি দলের কথা চিন্তা করছেন না মোটেও। মানুষ এই পয়েন্টগুলোই বোঝে না। আপনাকে যখন প্রস্তাবটা দেওয়া হয়েছে, কেন প্রস্তাবটা দেওয়া হয়েছে আপনার টিমের কোথা চিন্তা করেই দেওয়া হয়েছে। টিমের এভাবে হলে হয়তো টিমের জন্য ভালো হবে। সে কারণেই প্রস্তাবটা দেওয়া হয়েছে, যদি দেওয়াও হয়ে থাকে। এটাতে খারাপের কি আছে?
বিজ্ঞাপন
সাকিব আরও বলেন, ' অবশ্যই এখানে আলোচনার ব্যাপার রয়েছে যে না আমি পারব, আমি এটা পারব, তোমার কি লাগবে। তুমি বল আমাকে আমি আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব দলের জন্য। তাহলেই আপনি টিমম্যান। অন্যথায় ওইভাবে চিন্তা করলে আপনি টিমম্যানই না। আপনি খেলছেন ব্যক্তিগত রেকর্ড এবং সাফল্যের জন্য। নিজের ফেম এবং নেমের জন্য, টিমের জন্য না।'

