সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে তামিম ইকবালকে ছাড়াই দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ওয়ানডে সুপার লিগে শীর্ষ তিনে বাংলাদেশ দল যেই তামিমের নেতৃত্বে স্থান করে নিয়েছিল সেই তামিমকে ছাড়াই বিশ্বকাপে যাচ্ছে টাইগাররা। যা নিয়ে তোলপাড় ক্রিকেট পাড়ায়। এসব নিয়ে তামিম ইকবাল মুখ না খুললেও আজ সকালে এক ফেসবুক পোস্টে সবকিছু নিয়ে কথা বলার ইঙ্গিত দেন দেশসেরা এই ওপেনার। অবশেষে বিকেল ৫টার দিকে ১২মিনিট ১০ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে নিজের মত প্রকাশ করেন তামিম।
যেখানে তামিম দাবি করেছেন তার সঙ্গে সবশেষ ৩-৪ মাসে যা হয়েছে সব পরিকল্পিত। ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে তিনি বলেন, 'সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কথটা ফিজিওর রিপোর্টে কি ছিল। ফিজিওর রিপোর্ট একদম যেটা ছিল বলি। কেউ চ্যালেঞ্জ করতে চাইলে মোস্ট ওয়েলকাম। ফিজিওর রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রথম ম্যাচের পর এমন ব্যথা হয়েছে, দ্বিতীয় ম্যাচের পর এমন ব্যথা হয়েছে। আজকের দিনের হিসেবে সে ২৬ তারিখের ম্যাচের জন্য এভেইলেবল। কিন্তু মেডিকেল বিভাগ মনে করে যদি আমি বিশ্রাম নেই, ২৭ তারিখ আমাদের ভ্রমণ ছিল। ২৯ তারিখ আমাদের একটা অনুশীলন ম্যাচ। ২ তারিখে আরেকটা। আমি যদি দ্বিতীয় অনুশীলন ম্যাচ খেলি প্রথম ম্যাচের আগে তাহলে আমার পর্যাপ্ত সময় পাব। তাহলে আমার দুই সপ্তাহর পুনর্বাসন হয়ে যাবে, সব মিলিয়ে দশ সপ্তাহর হয়ে যাবে। এটাই রিপোর্টে আছে।'
বিজ্ঞাপন
'পাঁচ ম্যাচ, দুই ম্যাচ কোন জায়গায় ছিল না। আমার শরীরে ব্যথা ছিল সেটা আমি অস্বীকার করছি না। সংবাদ সম্মেলনেও বলেছি। আমি ইনজুরড হইনি, ব্যথা থাকতে পারে।'
তামিম আরো বলেন, 'এক-দুদিন পরে বোর্ডের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে একজন ফোন করলেন। তিনি বেশ সম্পৃক্ত আমাদের ক্রিকেটের সঙ্গে। উনি আমাকে ফোন করে বললেন, "তুমি তো বিশ্বকাপে যাবে। তোমাকে তো ম্যানেজ করে খেলাতে হবে। তুমি এক কাজ কর তুমি প্রথম ম্যাচ খেলো না। আফগানিস্তানের সঙ্গে।" বললাম ভাই এটা তো এখনো ১২-১৩ দিনের পরের কথা। ১২-১৩ দিনের পর তো আমি ভালো অবস্থায় থাকব। তারপর বলল, "তুমি যদি খেলো আমরা এরকম একটা পরিকল্পনা করছি, আলোচনা করছি তোমাকে আমরা নিচে ব্যাটিং করাবো।"
'স্বাভাবিকভাবে বুঝতে হবে আমি কোন মানসিকতা থেকে এসেছি। আমাকে যদি হুট করে এসব ধরণের কথা বলা হয়। আমার পক্ষে নেওয়া আসলে সম্ভব না। আমি ১৭ বছর ধরে এক পজিশনে ব্যাট করেছি। আমি জীবনে কোনদিন তিন-চারে ব্যাটিং করিনি। আমি যদি তিন চারে ব্যাট করতাম তাহলে মানিয়ে নেওয়ার মতো ছিল। আমার এরকম কোন অভিজ্ঞতা নেই। আমি এটা ভালোভাবে নেইনি। আমি উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলাম। আমি এটা পছন্দ করিনি। আমি মনে করেছি আমাকে জোর করে করে বাধা দেওয়া হয়েছে। আমি তখন, বলেছি, "দেখেন, আপনারা একটা কাজ করেন, আপনাদের এরকম চিন্তা ধারা থাকলে আমাকে পাঠিয়েন না। আমি নোংরামির মধ্যে থাকতে চাই না।"

