আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি খেলেই হুট করে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আবার ফিরে আসলেও ছেড়েছেন নেতৃত্ব। এরপর চোটের কারণে খেলেননি এশিয়া কাপ। পুনর্বাসনের দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে আবার মাঠে ফিরেছেন। গতকাল কিউইদের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট হাতে খেলেছেন ৫৮ বলে ৪৪ রানের ইনিংস।
প্রথম ম্যাচটি বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার পর গতকালের ম্যাচটি হেরেছে বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপের আগে মাঠে ফিরে তামিমের রান পাওয়া বাংলাদেশ দলের জন্য বেশ ইতিবাচক। হারের পর গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন দেশসেরা এই ওপেনার। কথা বলেছেন ইশ সোধিকে করা হাসান মাহমুদের মানকাডিং আউট, নিজের চোট এবং টাইগারদের বিশ্বকাপ স্বপ্ন নিয়ে করা হাথুরুর মন্তব্য নিয়ে।
বিজ্ঞাপন
নিজের চোটের অবস্থা জানতে চাওয়া হলে তামিম গতকাল বলেন, ‘সব মিলিয়ে অস্বস্তি আছে। আমাদের চিকিৎসক দল সিদ্ধান্ত নেবে যে আমাকে কীভাবে সামলাবে। আমাকে মেনে নিতে হবে যে এটা পুরোপুরি সেরে যাবে না।’ এরপর যোগ করলেন, ‘খুবই স্বাভাবিক যে এত দিন পর চোট থেকে খেলায় ফিরলে আমি শতভাগ ফিট থাকব না। আবারও শতভাগ ফিট বলছি...(হাসি)।’
এদিকে এশিয়া কাপ শেষে দেশের একটি গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেছিলেন, ‘তা কেউ যদি এখন এই স্বপ্ন দেখে যে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ জিতবে, তাহলে আমি তাঁকে বলব, “ঘুম থেকে জেগে উঠুন।”’ তামিমের সংবাদ সম্মেলনে গতকাল প্রশ্ন করা হয়েছে এ বিষয় নিয়েও।
তামিম বলেন, ‘আমি অবাক হয়েছিলাম কিছু কিছু মন্তব্য শুনে। আমি অবশ্যই মনে করি যে স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্ন না দেখলে অর্জন করবেন কীভাবে? অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে আমরা কোয়ার্টার ফাইনালের ওপরও কোনো দিন যেতে পারিনি। তারা স্বপ্ন দেখেছে বলেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।’ তামিম বলে চলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় কোনো স্বপ্ন না থাকলে উদ্দেশ্যও থাকে না। এটা আমাদের সপ্তম বিশ্বকাপ। আমরা আর কবে স্বপ্ন দেখব।’
ফলাফল যাই হোক না কেন স্বপ্নটা সবসময় থাকতে হবে জানিয়ে তামিম বলেন, ‘একটা বিষয় পরিষ্কার করি—স্বপ্ন। এটা নিশ্চয়তা দেওয়া নয়। আমরা হয়তো এবার দুইটা ম্যাচ জিততে পারি, একটাও জিততে পারি। আবার সেমিফাইনালও খেলতে পারি। যেটাই হোক, স্বপ্নটা তো থাকতে হবে। আমি জানি না, এটা বলাটা ঠিক কি না।’

