নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে গতকাল হেরেছে বাংলাদেশ। ৮৬ রানের পরাজয়ে ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছে টাইগাররা। তবে হার ছাপিয়েও আলোচনায় এসেছে ইশ সোধিকে করা হাসান মাহমুদের মানকাডিং আউট।
গতকাল নন স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা সোধিকে মানকাডিং পদ্ধতিতে আউট করেছিলেন হাসান। পরে আবেদন করলে আম্পায়ার টাইগারদের পক্ষেই রায় দেন। এদিকে আউট হয়ে মাঠে থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় টাইগারদের উদ্দেশ্যে ব্যঙ্গাত্মক ইশারা করেছিলেন কিউই এই ব্যাটার। পরে অধিনায়ক লিটন দাস আবেদন প্রত্যাহার করে সোধিকে আবার মাঠে ফিরিয়ে আনেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে গতকাল হারের পরে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন তামিম ইকবাল। স্বাভাবিকভাবে সেখানেও প্রশ্ন ওঠেছে এই মানকাডিং আউট নিয়ে। একবার আউট করার পর আবার সোধিকে ফিরিয়ে আনা উচিত হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেন, ‘এ আউট নিলে… আমার মনে হয়নি ওরও (সোধি) এমন করা উচিত হয়নি। ও যেভাবে বিস্মিত হয়েছে, তারও বিস্মিত হওয়া উচিত নয়। এটা আমরা নেব কি নেব না, এটা অধিনায়কের সিদ্ধান্ত। দুঃখিত, দলের সিদ্ধান্ত। নেব কি নেব না। তবে সে যেভাবে নিয়েছে, তাতে আমি অবাক হয়েছি। এটা ক্রিকেটেরই অংশ।’
সাবেক এই অধিনায়ককে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এভাবে আউট করার আগে ব্যাতারকে একবার সতরক্ক করা উচিত কিনা। জবাবে তামিম বলেন, ‘এখানে ওয়ার্নিংয়ের কিছু নেই। বোল্ড আউটের মতোই। হয়তো তখন অধিনায়ক ভেবেছে আমরা নেব না, এ কারণেই আমরা নেই নাই। এখানে ঠিক বা ভুল নেই। হয় আপনি করবেন, তাতেও ভুল নেই। যদি না করেন, তাতেও ভুল নেই। এটা দলের সিদ্ধান্ত। আমাদের এটা নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত, করব কি করব না। কারণ সামনে (এমন) আরও দেখা যাবে।’
কোনো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এমন আউট বাংলাদেশ নিত কিনা এমন প্রশ্নও কাল করা হয়েছিল তামিমকে। জবাবে তামিম বলেন, ‘হয়তোবা (নিতাম)। হয়তোবা না। আমি ভুল দেখি না। নিয়ম আছে এমন। এটা যদি কেউ আমরা নিই বা আমাদের বিপক্ষেও নেয়, আমার মনে হয় না এভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত। যেভাবে এখন লোকে দেখায়।’
এছাড়াও তামিম বলেন, ‘এটা একটা দলীয় সিদ্ধান্ত। আজকের ঘটনার পর আমরা এটা নিয়ে আলোচনা করব। আমাদের যদি দলীয় সিদ্ধান্ত হয়, আমরা এ ধরনের উইকেট নেব তাহলে নেব, নইলে নেব না। কারণ এটা ভালো দেখায় না, একবার আউট করার পর আবার ফিরিয়ে নিয়ে আসা।’

