কেউ কোনো বিপদ-মসিবতে কিংবা যেকোনো বিপর্যয়-দুর্যোগে পতিত হলে রাসুলুল্লাহ (স.) একটি দোয়া পড়তে বলেছেন। যে দোয়াটি বিদপগ্রস্ত পাঠ করলে আল্লাহ তাআলা তাকে দুর্যোগ থেকে উদ্ধার করবেন, একইসঙ্গে তাকে উত্তম কিছু দান করবেন।
দোয়াটি হলো— إِنَّا لِلهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ ، اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي وَاخْلُفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا উচ্চারণ: ‘ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন, আল্লাহুম্মা আজুরনি ফি মুসিবাতি ওয়াহলুফলি খাইরান মিনহা’। অর্থ: ‘আমরা আল্লাহর, আল্লাহর দিকে আমাদের ফিরে যেতে হবে, হে আল্লাহ! আমাকে বিপদে ধৈর্য ধারণের সাওয়াব দান কর এবং এর চেয়ে উত্তম স্থলাভিষিক্ত দাও।’ (সহিহ মুসলিম: ১৯৯৮)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বিপদ-মসিবতে ‘ইন্নালিল্লাহ’ পড়ার ফজিলত
উম্মে সালামা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে বলতে শুনেছি যে, কোনো মুসলিম যখন কোনো বিপদে পতিত হয়, তখন সে যদি আল্লাহর নির্দেশানুযায়ী ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন’ বলে এবং এ দোয়া পাঠ করে ‘হে আল্লাহ! আমাকে বিপদে ধৈর্য ধারণের সাওয়াব দান করুন এবং এর চেয়ে উত্তম কিছু স্থলাভিষিক্ত করে দিন’। তাহলে আল্লাহ তাকে উত্তম স্থলাভিষিক্ত দিয়ে ধন্য করবেন। যখন আবু সালামা (তাঁর স্বামী) ইন্তেকাল করলেন তখন আমি বললাম, আবু সালামা (রা.) থেকে কে উত্তম হতে পারে? তাঁর পরিবারই প্রথম পরিবার যারা রাসুলুল্লাহ (স.)-এর সাথে হিজরত করেছিল।
এরপর আমি ওই দোয়া পাঠ করলাম। ফলে আল্লাহ রাসুলুল্লাহ (স.)-কেই আমার জন্য দান করলেন। উম্মে সালামা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) আমার নিকট হাতিব ইবনু আবি বালতায়াকে দিয়ে বিবাহের পয়গাম পাঠালেন। আমি বললাম, আমার একটি মেয়ে রয়েছে আর আমি একটু অভিমানী। তিনি বললেন, তোমার মেয়ের জন্য আমি দোয়া করছি যেন আল্লাহ তার সুব্যবস্থা করে দেন এবং এই দোয়া করছি যে, তিনি তোমার অভিমানকে দুর করে দেন। (সহিহ মুসলিম: ১৯৯৮, ই.ফা)
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে বিপদের সময় উল্লেখিত দোয়াটির মাধ্যমে আল্লাহর কাছে সাহায্যপ্রার্থনার তাওফিক দান করুন। আমিন।

