রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

যে কাঠের ঘ্রাণে জিন পালায়

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২২, ১২:১২ পিএম

শেয়ার করুন:

যে কাঠের ঘ্রাণে জিন পালায়

দুষ্ট জিনের ক্ষতি থেকে বাঁচতে সাধারণত আয়াতুল হারক তেলাওয়াত করা হয়। জিনে আছর করেছে—এমন ব্যক্তির চিকিৎসায় এসব আয়াত তিনটি উদ্দেশে পাঠ করা হয়। দুষ্ট জিনের ওয়াসওয়াসা থেকে সুস্থতা লাভের আশায়, জিনকে শাস্তি দেয়ার নিয়তে এবং যাদুর জিনিস লুকানো থাকলে তা পুড়িয়ে ফেলার নিয়তে।

পবিত্র কোরআনের জাহান্নাম ও আজাবসংক্রান্ত আয়াতসমূহকে বলা হয় আয়াতুল হারক। যেমন সুরা বাকারার ২৫৫, ২৬৬, সুরা আলে ইমরান: ১০, ১১৬, ১৮১, সুরা নিসা: ৫৬ সুরা মায়েদা:৩৭, সুরা আনআম: ১২৮, সুরা আনফাল: ৫০, সুরা ইবরাহিম: ১৫,১৬, ১৭, ৪৯, ৫০, সুরা হাজ: ৯, ১৯, ২০, ২১, ২২, সুরা ফাতির: ৩৬, ৩৭, সুরা সফফাত: ৭, ৮, ৯, ১০, সুরা মুমিন: ৬, ৭২, সুরা মূলক: ৫-৯ ইত্যাদি আয়াতুল হারকের অন্তর্ভুক্ত।


বিজ্ঞাপন


উপরোক্ত আয়াতসমূহ পড়ে রোগীকে ফুঁ দেওয়া এবং পড়া তেল বা পানি সারা ঘরে ছিটিয়ে দেওয়াসহ রুকইয়ার (কোরআনকে ব্যবহার করে চিকিৎসার) বিভিন্ন নিয়ম থাকলেও বুখারি শরিফের হাদিসে একটি কাঠের উল্লেখ আছে—যেখানে বলা হয়েছে, ওই কাঠের ঘ্রাণ সহ্য করতে না পেরে জিন পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

হাদিসের ভাষায় একে বলা হয়, ‘উদুল হিন্দ’। ভারতীয় কস্টাসে (সুগন্ধিযুক্ত বৃক্ষের) তৈরি নাকের ড্রপ, যা ভারতীয় চন্দন কাঠ দিয়ে তৈরি করা হয়। এর ব্যবহারপদ্ধতি হলো—রোগী এ কস্তুরি দ্বারা তৈরিকৃত ড্রপ এমনভাবে নাকে ব্যবহার করবে, যেন তার তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধ সরাসরি মস্তিষ্কে চলে যায়, যেখানে জিন অবস্থান করে। এতে করে জিন দিশাহারা হয়ে পালিয়ে যায়।

উম্মে কায়েস বিনতে মিহসান (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী (স.)-কে বলতে শুনেছি, তোমরা ভারতীয় এই চন্দন কাঠ ব্যবহার করবে। কেননা তাতে সাতটি আরোগ্য রয়েছে। শ্বাসনালির ব্যথার জন্য এর (ধোঁয়া) নাক দিয়ে টেনে নেওয়া যায়, পাঁজরের ব্যথা বা পক্ষাঘাতের রোগ দূর করার জন্যও তা ব্যবহার করা যায়। (বুখারি: ৫৬৯২)

তাই জিনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে ঘরে সুগন্ধি চন্দন কাঠ জ্বালিয়ে তার ধোঁয়া নেওয়া যেতে পারে। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুষ্ট জিন বা পরীর আছর থেকে হেফাজত করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর