রোববার, ৫ মে, ২০২৪, ঢাকা

যেসব ক্ষেত্রে রোজা মাকরুহ হয় না

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৫ মার্চ ২০২২, ০৪:২৫ পিএম

শেয়ার করুন:

যেসব ক্ষেত্রে রোজা মাকরুহ হয় না

মাকরুহ অর্থ অপছন্দনীয় বা অপ্রিয়। রোজা রেখে দিনের বেলায় কিছু গর্হিত কাজের কারণে শরিয়তের দৃষ্টিতে রোজা মাকরুহ সাব্যস্ত হয়। আর কিছু বিষয় রোজার দিনে অপছন্দনীয় মনে হলেও বাস্তবে ওসব কাজে রোজা মাকরুহ হয় না; রোজা ভঙ্গও হয় না। যেমন—

১) মিসওয়াক করলে (সেটি কাঁচা হোক বা শুষ্ক)


বিজ্ঞাপন


২) অনিচ্ছাবশত গলার মধ্যে ধোঁয়া, ধুলাবালি, মশা-মাছি চলে গেলে

৩) তেল, সুগন্ধি, সুরমা ও শিঙা লাগালে হলকে তার স্বাদ পেলে

৪) ভুলবশত খাওয়া-দাওয়া ও স্ত্রীসম্ভোগ করলে

৫) স্বপ্নদোষ হলে  


বিজ্ঞাপন


৬) সাপ, বিচ্ছু ইত্যাদি দংশন করলে

৭) ইনজেকশন বা টিকা নেওয়া বৈধ। তবে এমন ইনজেকশন বা টিকা লাগানো মাকরুহ, যেগুলো দ্বারা রোজার কষ্ট বা দুর্বলতা দূর হয়ে যায়।

৮) কাঠি দিয়ে কান খোঁচানোর ফলে ময়লা বের হলে এবং ময়লাযুক্ত কাঠি বারবার কানে প্রবেশ করালে

৯) ইনজেকশনের মাধ্যমে রক্ত বের করলে রোজা নষ্ট হবে না; আর দুর্বলতার আশঙ্কা না থাকলে মাকরুহও হবে না।

১০) পান খাওয়ার পর ভালোভাবে কুলি করা সত্ত্বেও থুতুতে লাল আভা থেকে গেলে

১১) ঠাণ্ডার জন্য কুলি করা, নাকে পানি দেওয়া এবং ভেজা কাপড় শরীরে দেওয়া মাকরুহ নয়। গরমের দরুন দীর্ঘক্ষণ পানিতে অবস্থান করাও মাকরুহ নয়।

১২) ফরজ গোসল সুবেহ সাদিকের আগে না করে রোজার নিয়ত করলে রোজা মাকরুহ হয় না

১৩) গলা খাঁকারি দিয়ে গলদেশ থেকে মুখে কাশি বের করা, তারপর আবার গিলে ফেলা মাকরুহ নয় (তবে, এরূপ না করাই উত্তম)

১৪) মাথা বা চোখে ওষুধ দিলে

১৫) নাকে ওষুধ ব্যবহার করার কারণে ব্রেনে না পৌঁছলে রোজা মাকরুহ হয় না। হোমিওপ্যাথি ওষুধের ঘ্রাণ নেওয়াও মাকরুহ নয়।

১৬) পাইপ দ্বারা মুখে হাওয়া নিলে

১৭) ক্ষতস্থান থেকে পুঁজ বা রক্ত বের হলে। তবে রোজাদার থেকে বের করা মাকরুহ।

১৮) চিকিৎসার শুকনো কোনো যন্ত্র পেটে প্রবেশ করানো হলে, অতঃপর তা বের করলে রোজা নষ্ট হবে না।

১৯) পানিতে ডুব দেওয়ার পর কানের ভেতর পানি চলে গেলে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে পানি দিলে রোজা মাকরুহ হয় না।

২০) অনিচ্ছাকৃত বমি করলে

২১) দাঁত হতে রক্ত বেরোনোর পর যদি তা কণ্ঠনালি পর্যন্ত না পৌঁছায়

২২) একান্ত প্রয়োজনে জিহবা দ্বারা কোনো কিছুর স্বাদ নেওয়া বা বাচ্চাদের জন্য খাদ্য চিবালে রোজা মাকরুহ হয় না

(আলমগিরি; শামি; জাওয়াহিরুল ফিকহ; এমদাদুল ফতোয়া; আল ফিকহুল হানাফি; মাহমুদিয়া; বিনায়াহ; আল মুহিতুল বুরহানি; রদ্দুল মুখতার)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সহিহ সুন্নাহ অনুযায়ী রোজা রাখার তাওফিক দিন। সন্দেহজনক বিষয় থেকে দূরে রাখুন এবং রোজার মাসায়েল জানার ও বুঝার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর