বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ইশরাক ও চাশতের নামাজের ফজিলত

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩০ নভেম্বর ২০২২, ০৩:৫৯ পিএম

শেয়ার করুন:

ইশরাক ও চাশতের নামাজের ফজিলত

নফল ইবাদত আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মাধ্যম। গুরুত্বপূর্ণ দুই নফল ইবাদত হলো ইশরাক ও চাশতের নামাজ। বর্তমান মুসলিম সমাজে এই দুই আমল প্রায় বিলুপ্ত বলা যায়। অথচ এটি প্রিয়নবী (স.) ও সাহাবায়ে কেরামদের আমল। তাঁরা ইশরাক ও চাশতের নামাজ খুব গুরুত্ব দিয়ে আদায় করতেন। হাদিসে এই নামাজগুলোর অসংখ্য ফজিলত বর্ণিত হয়েছে।

ইশরাকের নামাজ
সূর্য পরিপূর্ণভাবে উদিত হওয়ার পর ইশরাকের নামাজ আদায় করতে হয়। রাসুলুল্লাহ (স.) ফজরের নামাজের পর থেকে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত মসজিদে অবস্থান করতেন। এ সময় দোয়া, তাসবিহ পাঠ ও দীনি আলোচনা করতেন। সূর্যোদয়ের পর তিনি দুই রাকাত নামাজ আদায় করতেন। অন্যদেরও উৎসাহিত করতেন। আনাস ইবনে মালেক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি জামাতের সঙ্গে ফজরের নামাজ আদায় করল এবং সূর্যোদয় পর্যন্ত আল্লাহর জিকিরে বসে থাকল; অতঃপর দুই রাকাত নামাজ আদায় করল, সে একটি পরিপূর্ণ হজ ও ওমরাহর সওয়াব পাবে।’ (তিরমিজি: ৫৮৬)


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: সাধ্যের বাইরে নয়, নিয়মিত আমলেই জান্নাতের নিশ্চয়তা

ইশরাকের সময় হলো, বেলা ওঠার ১৫ মিনিট পর থেকে দ্বিপ্রহরের ৫ মিনিট আগ পর্যন্ত সময়। তবে উত্তম হলো, বেলা ওঠার এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে ইশরাক পড়া ।

দুহা বা চাশতের নামাজ
সূর্য মধ্য আকাশে স্থির হওয়ার আগ মুহূর্তে দুহার নামাজ আদায় করা হয়। পৃথকভাবে আদায় করার অবকাশ থাকলেও অনেকেই এটাকে ইশরাকের নামাজ হিসেবেই উল্লেখ করেছেন। তাঁরা বলেছেন, সময়ের শুরুতে আদায় করলে সেটা ইশরাক আর সময়ের শেষে আদায় করলে দুহা। আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘আমার প্রিয়তম (রাসুল স.) আমাকে তিনটি বিষয়ে অসিয়ত করেছেন, যেন আমি তা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ত্যাগ না করি। প্রতি মাসে তিন দিন রোজা রাখা, দুহার নামাজ ও ঘুমানোর আগে বিতর আদায় করা।’ (সহিহ বুখারি: ১১৭৮)

আরও পড়ুন: সোম-বৃহস্পতিবার নফল রোজা রাখার গুরুত্ব ও ফজিলত


বিজ্ঞাপন


রাসুল (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষের শরীরে ৩৬০টি জোড়া আছে। অতএব, মানুষের কর্তব্য হলো প্রত্যেক জোড়ার জন্য একটি করে সদকা করা। সাহাবায়ে কেরাম বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! কার শক্তি আছে এই কাজ করার?’ তিনি বলেন, ‘মসজিদে কোথাও থুতু দেখলে তা ঢেকে দাও অথবা রাস্তায় কোনো ক্ষতিকারক কিছু দেখলে সরিয়ে দাও। তবে এমন কিছু না পেলে, চাশতের দুই রাকাত নামাজ এর জন্য যথেষ্ট।’ (আবু দাউদ: ৫২২২)। উপরোক্ত হাদিস থেকে আরো বোঝা যায় যে চাশতের নামাজ ৩৬০ সদকার সমতুল্য।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ইশরাক, চাশতসহ সব নফল ইবাদতকে গুরুত্ব দেওয়ার তাওফিক দান করুন। আমাদের সবাইকে তাঁর নৈকট্যশীলদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর