শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

রাতে অতি ফজিলতপূর্ণ তিন জিকির

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২২, ০৫:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

রাতে অতি ফজিলতপূর্ণ তিন জিকির

রাতে নফল নামাজ, দোয়া দরুদ, জিকির-আসকারের গুরুত্ব বেশি। তাহাজ্জুদের মতো মহান ইবাদতও রাতে সীমাবদ্ধ। এজন্যই পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই রাতে জাগরণ ইবাদতের জন্য গভীর মনোনিবেশ, হৃদয়ঙ্গম এবং স্পষ্ট উচ্চারণে অনুকূল।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল: ৬)

আবার রাতে সহজে আমল করার মতো কিছু ফজিলতপূর্ণ জিকিরের বর্ণনা এসেছে সহিহ হাদিসে। এমন তিনটি আমল নিচে তুলে ধরা হলো—


বিজ্ঞাপন


১) সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত
বদরি সাহাবি আবু মাসউদ আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, যে ব্যক্তি রাতে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করে, তবে তা তার জন্য যথেষ্ট হবে। (সহিহ বুখারি: ৫০৪০)
‘তার জন্য যথেষ্ট হবে’ বাক্যটির ব্যাখ্যায় একদল আলেম বলেন, এই দুই আয়াত তাহাজ্জুদের বিপরীতে যথেষ্ট হবে। অন্যরা বলেন, আয়াতদ্বয় রাতের বেলা শয়তান, জিন ও মানুষের ক্ষতি থেকে রক্ষায় যথেষ্ট হবে। (শরহুন নববি: ৬/৯১)

আরও পড়ুন: ফরজ বাধ্যতামূলক, নফলে আল্লাহর নৈকট্য 

২) সুরা মুলক তেলাওয়াত
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, কোরআনে ৩০ আয়াতবিশিষ্ট একটি সুরা আছে। যে সুরাটি কারো পক্ষে সুপারিশ করলে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়। সুরাটি হলো—তাবারাকাল্লাজি বিয়াদিহিল মুলক..(অর্থাৎ সুরা মুলক)। (সুনানে তিরমিজি: ২৮৯১)
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি প্রতি রাতে তাবারাকাল্লাজি পাঠ করবে আল্লাহ তার বিনিময়ে তাকে কবরের শাস্তি থেকে রক্ষা করবেন। আমরা রাসুলুল্লাহ (স.)-এর যুগে এই সুরাকে ‘মানিআ’ (প্রতিহতকারী বা রক্ষাকারী) বলতাম। (সুনানে নাসায়ি: ১০৫৪৭)

৩) সাইয়িদুল ইস্তেগফার পাঠ
শাদ্দাদ ইবনুল আউস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (স.) বলেছেন, যে ব্যক্তি দিনে (সকালে) দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে এই ইস্তেগফার পড়বে আর সন্ধ্যা হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে ব্যক্তি জান্নাতি হবে। আর যে ব্যক্তি রাতে (প্রথম ভাগে) দৃঢ় বিশ্বাসের সঙ্গে এই দোয়া পড়ে নেবে আর ভোর হওয়ার আগে মারা যাবে, সে জান্নাতি হবে। আর সাইয়িদুল ইস্তেগফার হলো বান্দার এই দোয়া পড়া— اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ


বিজ্ঞাপন


(উচ্চারণ) ‘আল্লা-হুম্মা আনতা রাব্বি লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খালাকতানি, ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু, আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু। আবুউ লাকা বিনিমাতিকা আলাইয়া ওয়া আবুউ বিজাম্বি ফাগফিরলি ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা।’

আরও পড়ুন: সহজ পাঁচ আমলে হজের সওয়াব

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই গোলাম। আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে কৃত প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের ওপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নেয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করো। (সহিহ বুখারি: ৬৩০৬)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উপরোক্ত আমলগুলো প্রতিরাতে করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর