রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

জুমার দিন বিকেলে ৮০ বার দরুদ পড়ার ফজিলত

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭ অক্টোবর ২০২২, ০৭:২৮ এএম

শেয়ার করুন:

জুমার দিন বিকেলে ৮০ বার দরুদ পড়ার ফজিলত

জুমাবার মুসলমানদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। অধিক মর্যাদাসম্পন্ন এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয়েছে হাদিসে। ‘আল জুমা’ নামে পবিত্র কুরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা আছে। জুমার দিনে মুমিনদের জন্য কিছু আমলের কথা বলা আছে হাদিসে। এর মধ্যে একটি আমল হচ্ছে বিশেষ সময়ে বিশেষ নিয়মে দরুদ পাঠ। 

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে আল্লাহর রাসুল (স.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন আসর নামাজের পর ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নে উল্লেখিত দরুদ শরিফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে।’ (আফদালুস সালাওয়াত: ২৬)


বিজ্ঞাপন


দরুদটি হলো— اللهم صل على محمد النبي الأمي وعلى آله وسلم تسليمًا ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলীমা’

কোনো নিয়ম ছাড়াও জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠের অনেক গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে হাদিসে। রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়। (আবু দাউদ: ১০৪৭)

অন্য হাদিসে হজরত আলি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি নবী কারিম (স.)-এর ওপর জুমার দিন ১০০ বার দরুদ পাঠ করে, সে কেয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠবে যে, তার চেহারায় নূরের জ্যোতি দেখে লোকেরা বলাবলি করতে থাকবে এই ব্যক্তি কী আমল করেছিল!’ (কানজুল উম্মাল: ১৭৪)

হাদিসে কুদসিতে এসেছে, ‘তোমরা জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পড়ো। কারণ, জিব্রাইল (আ.) এইমাত্র আল্লাহ তাআলার বাণী নিয়ে হাজির হলেন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “পৃথিবীতে যখন কোনো মুসলমান আপনার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আমি তার ওপর ১০ বার রহমত নাজিল করি এবং আমার সব ফেরেশতা তার জন্য ১০ বার ইস্তেগফার করে।’’ (তারগিব: ৩/২৯৯)


বিজ্ঞাপন


আবু উমামা (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, ‘আমার ওপর জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ আমার উম্মতের দরুদ জুমার দিন আমার কাছে পৌঁছানো হয়। যে ব্যক্তি আমার ওপর সবচেয়ে বেশি দরুদ পাঠাবে, সে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন সবচেয়ে আমার নিকটতম হবে।’ (তারগিব: ১৫৭)

সুতরাং হাদিসে উল্লেখিত ফজিলত লাভের জন্য বিশেষ করে জুমার দিনে যত বেশি সম্ভব দরুদ পাঠ করা সকল মুসলমানের জন্য বাঞ্ছনীয়। অন্য দিনেও দরুদ পাঠের গুরুত্ব রয়েছে। মহান আল্লাহ নিজেও প্রিয়নবীর ওপর দরুদ অবতীর্ণ করেন, ফেরেশতারাও নবী (স.)-এর প্রতি রহমত ও বরকত কামনা করেন। ‘হে মুমিন! তোমরাও তাঁর ওপর দরুদ পাঠ করো এবং সালাম প্রেরণ করো।’ (সুরা আহজাব: ৫৬)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে উল্লেখিত নিয়মের পাশাপাশি নবীজির ওপর সবসময় বিশেষ করে জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠের তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর