মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ঢাকা

জুমার আজান শুনলেই কি বেচাকেনা বন্ধ করতে হবে?

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৮:৪৬ এএম

শেয়ার করুন:

জুমার আজান শুনলেই কি বেচাকেনা বন্ধ করতে হবে?

জুমাবার মুসলমানদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয়েছে হাদিসে। সৃষ্টিজগতের শুরু থেকে দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জুমা নামে পবিত্র কোরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা আছে। মুমিনের উচিত- দিনটির মর্যাদা রক্ষায় কোনো অবহেলা না করা।

জুমার দিন আজানের পর বেচাকেনা বন্ধ রাখা গুরুত্বপূর্ণ আমল। আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন, ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেওয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে দ্রুত ছুটে যাও এবং বেচাকেনা বন্ধ করো। এটা তোমাদের জন্য  উত্তম যদি তোমরা উপলব্ধি করো।’ (সুরা জুমা: ৯)


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: জুমার খুতবার সময় দানবাক্স চালানো জায়েজ?

উক্ত আয়াতে জুমার আজানের পর বেচাকেনা করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা এসেছে। এজন্য জুমার আজানের পর ক্রয় বিক্রয় করা নাজায়েজ।

যদিও ফুকাহায়ে কেরামদের কেউ এই নিষেধাজ্ঞার দ্বারা জুমার দ্বিতীয় আজানকে উদ্দেশ্য করেছেন। তবে, নির্ভরযোগ্য তাফসিরবিদ ও ফিকহবিদদের মতানুযায়ী, প্রথম আজানের পর জুমার প্রস্তুতিমূলক কাজ ছাড়া অন্য কোনো কাজে লিপ্ত হওয়া উক্ত আয়াতের নিষেধাজ্ঞার আওতাভুক্ত। অতএব তা নাজায়েজ। 

আরও পড়ুন: জুমার নামাজ ছেড়ে দেওয়ার পরিণতি


বিজ্ঞাপন


(তথ্যসূত্র: মুসান্নাফ ইবনে আবি শায়বা: ৪/১২০; মুসান্নাফ আবদুর রাজজাক: ৩/২০৫; আদ্দুররুল মানছুর: ২/২১৯; আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল: ৬/২১; বয়ানুল কোরআন: ৩/৫৪৭; তাফসিরে মাজহারি: ১০/২৮১; তাফসিরে শায়খুল হিন্দ পৃ-৭১৮; আহকামুল কোরআন, ইমাম ইসমাঈল ইবনে ইসহাক: ২৮৬; রদ্দুল মুহতার: ২/১৬১; আততাসহিহ ওয়াত তারজিহ: ১৮৫; ইলাউস সুনান: ৮/৮৬; ফতোয়ায়ে উসমানি: ১/৫৭৯)

কোরআনের আয়াত অনুযায়ী জুমার দিনের মতো মর্যাদাপূর্ণ সময়ে গড়িমসি করা কোনোভাবেই উচিত হবে না। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে জুমার দিনের মর্যাদা ও গুরুত্ব উপলব্ধি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর