সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

নাবালেগ ও মুসাফিরের কোরবানির বিধান কী?

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪ জুলাই ২০২২, ০২:৪১ পিএম

শেয়ার করুন:

নাবালেগ ও মুসাফিরের কোরবানির বিধান কী?

কোরবানি ইসলামি শরিয়তের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং ঈদুল আজহার প্রধান আমল। সামর্থ্য থাকার পরও যে কোরবানি করে না, হাদিসে তার নিন্দা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা কোরবানির নির্দেশ দিয়ে বলেন- ‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন।’ (সুরা কাউসার: ২)

কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার শর্তগুলো হচ্ছে—১) মুসলিম হওয়া। ২) প্রাপ্তবয়ষ্ক হওয়া। ৩) সুস্থ মস্তিষ্কের অধিকারী হওয়া। ৪) স্বাধীন ব্যক্তি হওয়া। ৫) মুকিম হওয়া অর্থাৎ কোনো স্থানে ১৫ দিনের বেশি সময়ের জন্য স্থায়ী হওয়া। ৬) জাকাত ফরজ হয় এই পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া। এখান থেকে একটি শর্ত বাদ গেলেও তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয়। 


বিজ্ঞাপন


কোনো শিশু-কিশোর বালেগ (সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন) না হওয়া পর্যন্ত কোরবানি ওয়াজিব নয়। অবশ্য তার অভিভাবক নিজ সম্পদ দিয়ে তাদের পক্ষে কোরবানি দিলে তা সহিহ হবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/১৯৬, রদ্দুল মুখতার: ৬/৩১৬)

নাবালেগের পক্ষ থেকে কোরবানি দেওয়া অভিভাবকের ওপর ওয়াজিব নয়; বরং মোস্তাহাব। (রদ্দুল মুখতার: ৬/৩১৫; ফতোয়ায়ে কাজিখান: ৩/৩৪৫)

একইভাবে মুসাফিরের ওপরও কোরবানি ওয়াজিব নয়। শরিয়তের দৃষ্টিতে ৪৮ মাইল বা প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে যাওয়ার নিয়তে নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে—এমন ব্যক্তিই মুসাফির। কোরবানির নির্ধারিত সময়ে কেউ সফরে থাকলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব নয়। (ফতোয়ায়ে কাজিখান: ৩/৩৪৪, বাদায়েউস সানায়ে: ৪/১৯৫, আদ্দুররুল মুখতার: ৬/৩১৫)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরবানি সংক্রান্ত সকল মাসায়েল জানার বুঝার এবং সহিহ সুন্নাহ অনুযায়ী কোরবানি করার তাওফিক দান করুন। আমিন।  

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর