শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

রাত ৮টায় দোকানপাট বন্ধ, ইসলাম কী বলে?

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২২, ০৯:৫৯ এএম

শেয়ার করুন:

রাত ৮টায় দোকানপাট বন্ধ, ইসলাম কী বলে?

ইসলামের লক্ষ্যই হলো তাওহিদ বাস্তবায়নের পাশাপাশি ইনসাফ প্রতিষ্ঠা ও দুনিয়া-আখেরাতে সফলতার পথে চলা। সুতরাং স্রষ্টা ও সৃষ্টির প্রাপ্য অধিকার অনুযায়ী যথাযথ আচরণ বা কর্ম সম্পাদন করলেই এ উদ্দেশ্য সাধিত হবে। আলোচনার বিষয় হলো—রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ করা নিয়ে ইসলামি বক্তব্য কী? 

বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান জ্বালানির দাম বৃদ্ধিজনিত কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে প্রতিদিন রাত ৮টার পর শপিংমল, দোকান, কাঁচাবাজার ইত্যাদি বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সরকারের উদ্দেশ্য হলো সাশ্রয়ী হওয়া, অপচয় রোধ করা। এ উদ্দেশ্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত ইসলাম। বরং এ ব্যাপারে ইসলামি নির্দেশনা আরও কঠিন এবং তাৎপর্যপূর্ণ। 


বিজ্ঞাপন


ইবনে ওমর (রা.) সূত্রে বর্ণিত, ‘একদা রাসুল (স.) সাদ (রা.)-এর পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় সাদ (রা.) অজু করছিলেন। তাঁর অজুতে পানি বেশি খরচ হচ্ছিল। রাসুল (স.) তা দেখে বললেন, কেন এই অপচয়? সাদ (রা.) আরজ করলেন, অজুতেও কি অপচয় হয়? রাসুল (স.) বললেন, হ্যাঁ, এমনকি বহমান নদীতে অজু করলেও’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪২৫)। এমনকি এক হাদিসে অজুর অঙ্গগুলো তিনবারের অধিক ধোয়াকে সীমালঙ্ঘন আখ্যা দেওয়া হয়েছে। (আল মুজামুল কাবির: ১১০৯১)

অপচয় কেবল পানির ক্ষেত্রে হারাম নয়, বরং সব কিছুতেই। বিদ্যুৎ, গ্যাস, খাওয়া-দাওয়া, কাপড়চোপড়—সব বস্তুতেই অপচয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। আল্লাহ তাআলা অপচয়কারীকে শয়তানের ভাই বলে ঘোষণা করেছেন। অপচয় ও অপব্যয়ের কারণে মানুষের জীবন থেকে বরকতও হ্রাস পায়। 

ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আহার করো ও পান করো; কিন্তু অপব্যয় করবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ অপচয়কারীকে পছন্দ করেন না’ (সুরা আরাফ: ৩১)। অন্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমাদের অর্থ-সম্পদ অপ্রয়োজনীয় কাজে খরচ করবে না। জেনে রেখো, যারা অপব্যয় করে তারা শয়তানের ভাই, আর শয়তান নিজ প্রতিপালকের ঘোর অকৃতজ্ঞ।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৬, ২৭)

যেখানে ইসলাম খাওয়ার উচ্ছিষ্টও সঠিক জায়গায় রাখার নির্দেশ দেয়, যাতে জীবজন্তু ও পশুপাখি তা খেতে পারে, সেখানে ঘরে-বাইরে, হোটেলে ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণে অপচয়ের উৎসব চলে। যা খুবই দুঃখজনক এবং এমন অপচয় ইসলামে ঘৃণিত। 


বিজ্ঞাপন


নবীজি (স.) খাওয়ার পর বাসনও আঙুল চেটে খাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। (বুখারি: ৫৪৫৬) রাসুল (স.) যখন আহার করতেন, আহার শেষে তিনবার আঙুল চেটে খেতেন এবং বলতেন, তোমাদের খাবারের বাসন থেকে কিছু পড়ে গেলে উঠিয়ে পরিষ্কার করে খাও, তা শয়তানের জন্য ছেড়ে দিয়ো না। (আবু দাউদ: ৩৮৪৫)

অপ্রয়োজনে পাখা ও বাতি ব্যবহার এবং একটির জায়গায় দুটি হওয়াও অপচয়ের শামিল। অপচয় বা অপব্যয়ের কারণে আর্থিক ক্ষতির চেয়েও দেশ ও সমাজের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যায়। তাই সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে নেওয়া পদক্ষেপ ইসলাম অনুযায়ী প্রশংসনীয় উদ্যোগ। কিন্তু দেখার বিষয় হলো এই উদ্যোগে সত্যিকার অর্থেই অপচয় রোধ হচ্ছে কি না। 

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন বলছে—এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে প্রতিদিন অন্তত দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব। পাশাপাশি, ওই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য যে পরিমাণ জ্বালানি প্রয়োজন হত, সেই জ্বালানির খরচও সাশ্রয় হবে বলে জানান পাওয়ারসেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন।

তিনি বলেন, ‘পর্যবেক্ষণে আমরা দেখেছি, সন্ধ্যা ছয়টার পর বিদ্যুতের চাহিদা তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার মেগাওয়াট বেড়ে যায়। বিদ্যুতের চাহিদার এই পরিবর্তন মূলত হয় সন্ধ্যার পর বাতি জ্বালানোর কারণে। সন্ধ্যার পর বিদ্যুতের এই বাড়তি চাহিদা যে শুধু দোকানপাট চালু থাকার জন্য তৈরি হয় তা নয়, মানুষের ঘরবাড়ির বাতিও একটি কারণ। তবে আমাদের হিসেবে, দোকানপাট বন্ধ থাকলে প্রায় অতিরিক্ত চাহিদার ৫০ শতাংশ বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় ছাড়াও ইসলামে রাত জাগতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। কর্মকোলাহল বন্ধ করে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়া সুন্নত। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (স.) ইরশাদ করেন, ‘কোনো মুসল্লি ও মুসাফির ব্যক্তি ছাড়া রাত জাগা নয়’ (তিরমিজি: ২৪৩৫)। হাদিসে আরও বর্ণিত হয়েছে, রাসুল (স.) এশার নামাজের পর গল্পগুজব ও গভীর রাত পর্যন্ত সময় নষ্ট না করে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর তাগিদ দিতেন। (মুসনাদ আবি ইয়ালা:  ৪৮৭৯)

তবে গুরুত্বপূর্ণ ও কল্যাণজনক কাজে রাত জাগতে নিরুৎসাহিত করা হয়নি। উমর ইবনুল খাত্তাব (রা.) বলেন, রাসুল (স.) মুসমানদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আবু বকরের সঙ্গে রাত জেগে আলাপ করতেন। আমিও তখন তাদের সঙ্গে থাকতাম। (তিরমিজি: ২৭৮১)

আর রাত জেগে যা করবেন, সেটা হলো তাহাজ্জুদ নামাজ; এতেই আল্লাহর রহমত এবং পরকালীন মঙ্গল নিহিত। প্রিয়নবী (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ ওই বান্দার ওপর রহম করুন, যে রাত্রিকালে উঠে নামাজ আদায় করে এবং তার স্ত্রীকেও জাগায় এবং সেও নামাজ আদায় করে। যদি সে (স্ত্রী) নিদ্রার চাপে উঠতে না চায়, তবে সে (ভালোবেসে) তার মুখে পানি ছিটিয়ে দেয়। আল্লাহ ওই নারীর ওপরও রহম করুন, যে রাত্রিতে উঠে নামাজ আদায় করে এবং তার স্বামীকে ঘুম থেকে জাগায় এবং সেও নামাজ আদায় করে। যদি সে ঘুম থেকে উঠতে না চায়, তবে সে (ভালোবেসে) তার মুখে পানি ছিটিয়ে জাগিয়ে তোলে।’ (আবু দাউদ: ১৪৫০)

তাই বাজারে বা দোকানে বসে অযথা গল্প-গুজব ও গুরুত্বহীন কাজে সময় নষ্ট উচিত নয়। বরং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়া আবশ্যক। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘আমি তোমাদের বিশ্রামের জন্য নিদ্রা দিয়েছি, তোমাদের জন্য রাত্রিকে করেছি আবরণস্বরূপ আর দিনকে বানিয়েছি তোমাদের কাজের জন্য।’ (সুরা নাবা: ৯-১১)

সখর গামেদি (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (স.) এ দোয়া করেছেন, ‘হে আল্লাহ, আমার উম্মতের জন্য দিনের শুরুকে বরকতময় করুন।’ এ জন্যই রাসুল (স.) কোনো যুদ্ধ অভিযানে বাহিনী পাঠানোর সময় দিনের শুরুতে পাঠাতেন। বর্ণনাকারী বলেন, সখর (রা.)-ও তার ব্যবসায়ী কার্যক্রম ভোরবেলা শুরু করতেন। এতে তাঁর ব্যবসায় অনেক উন্নতি হয়। তিনি সীমাহীন প্রাচুর্য লাভ করেন। (আবু দাউদ: ২৬০৬)

আবার কোরআন ও হাদিসের এই নির্দেশনার সঙ্গে আন্তর্জাতিক গবেষণা সংস্থাগুলোরও দ্বিমত নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ক্যান্সারবিষয়ক গবেষণা বিভাগ ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের তথ্য মতে, যখন সূর্যের আলো থাকে না তখন শরীরকে কাজ করতে বাধ্য করা বা জাগিয়ে রাখা শরীরে মেলাটনিন হরমোন তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে। আর এই মেলাটনিনই মানুষের দেহে টিউমারের বৃদ্ধিকে রোধ করে। তাই রাত জাগা মানুষদের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। অর্থাৎ রাতের ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং এটি কোনোভাবেই দিনের বেলায় ঘুমিয়ে পুষিয়ে নেওয়া যায় না।

যুক্তরাজ্যের এক দল গবেষকের মতে, যারা দেরিতে ঘুমায় ও দেরিতে ঘুম থেকে ওঠে, তাদের অকালমৃত্যুঝুঁকি বেড়ে যায়। যুক্তরাজ্যের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. পিরেঞ্জ লেভি বলেন, রাত জাগার বদ-অভ্যাস যারা গড়ে তুলেছে, তাদের ৯০ শতাংশই মানসিক রোগের শিকার। ৩০ শতাংশে থাকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি। এছাড়া স্নায়বিক সমস্যা থেকে শুরু করে অন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বেড়ে যায়।

যুক্তরাজ্যের সুবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রোনোলজি বিভাগের অধ্যাপক জন রিচার্ডসন বলেন, ‘আমরা দেখেছি, যারা দেরি করে ঘুম থেকে ওঠে তারা নানা ধরনের মানসিক ও শারীরিক জটিলতায় ভোগে। তাদের গড় আয়ু নিয়মিত সকালে উঠা মানুষের চেয়ে সাড়ে ছয় বছর কম।’

রাতে যারা কর্মকোলাহলে অভ্যস্থ তাদেরকে দুর্ভাগাই বলা যায়। কারণ তারা সকালবেলা ঘুম থেকেই উঠতে পারে না। আর ইসলামি বিশ্বাস অনুযায়ী, সকালবেলা ঘুমিয়ে থাকলে রিজিক কমে যায়। কারণ, এ সময় বান্দার রিজিক বণ্টন হয়। যারা তখন ঘুমিয়ে থাকে তারা সফলতা ও রিজিকের বরকত থেকে বঞ্চিত হয়। প্রিয়নবী (স.) ইরশাদ করেন, ‘সকালবেলায় রিজিকের অন্বেষণ করো! কেননা সকালবেলা বরকতময় ও সফলতা অর্জনের জন্য উপযুক্ত সময়।’ (মাজমাউজ জাওয়ায়েদ: ৬২২০)

ফাতেমা বিনতে মুহাম্মদ (সা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসুল (স.) আমার ঘরে এসে আমাকে ভোরবেলায় ঘুমন্ত অবস্থায় দেখলেন, তখন আমাকে পা দিয়ে নাড়া দিলেন এবং বললেন, মামণি! ওঠো! তোমার রবের পক্ষ থেকে রিজিক গ্রহণ করো! অলসদের দলভুক্ত হয়ো না। কেননা আল্লাহ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত মানুষের মধ্যে রিজিক বণ্টন করে থাকেন। (আত-তারগিব ওয়াত তারহিব: ২৬১৬)

আন্তর্জাতিক গবেষকরাও ভোরে ঘুম থেকে জাগার উপকারিতে খুঁজে পেয়েছেন। টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব শিক্ষার্থী ভোরবেলায়ই জাগতে পারে, তারা দেরিতে জাগ্রতদের চেয়ে বেশি নম্বর পায়। তাদের জিপিএ অন্যদের তুলনায় বেশি হয়। এই সাফল্যের পেছনে বাড়তি উৎপাদনশীলতা এবং ভালো ঘুম হওয়াকেই কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন।

চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী, রাত জাগার ১৩টি শারীরিক কুফল।
১. উচ্চ রক্তচাপ শুরু হয়।
২. ওজন বাড়ে।
৩. ব্রেনের কার্যক্ষমতা কমে।
৪. আয়ু কমে যায়!
৫. মানসিক অবসাদ বাড়ে।
৬. সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে।
৭. ত্বকের সৌন্দর্য হ্রাস পায়।
৮. হার্টের মারাত্মক ক্ষতি হয়, অ্যাটাক হওয়াও অস্বাভাবিক না।
৯. মানসিক সমস্যার আশঙ্কা দেখা দেয়।
১০. চেহারায় মলিনতা বিরাজ করে, নিষ্প্রভ দেখায়।
১১. কর্মোদ্যমতা কমে যায়।
১২. রোগ প্রতিরোধে বাঁধার সৃষ্টি করে।
১৩. দেহের স্বাভাবিক গতিপ্রকৃতিতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

অতএব, কোরআন সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করাতেই মঙ্গল। সুন্দর ও সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে কোরআন সুন্নাহর বিপরীত কর্মযজ্ঞ পরিত্যাগ করার বিকল্প নেই। সরকারি এই পদক্ষেপ ইসলামের দৃষ্টিতে সুন্দর ও বাস্তবসম্মত। তবে, এই নির্দেশনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আরও কিছু পদক্ষেপ যেমন চা-সিগারেটের দোকান, ক্লাব, সিনেমা হল ইত্যাদি বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করার অবকাশ রয়েছে।

আবার যে বিষয়গুলো এই নির্দেশনার আওতায় নেই তা খুবই প্রশংসনীয়। যেমন জেটি, স্টেশন অথবা বিমানবন্দর এবং পরিবহন সার্ভিস টার্মিনাল অফিস, এছাড়াও কাঁচা তরকারি, মাংস, মাছ, দুগ্ধ জাতীয় সামগ্রী, রুটি, পেস্ট্রি, মিষ্টি, ওষুধ, অপারেশন সরঞ্জাম, চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান, দাফন কাফনের জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রির দোকান। রাত ৮টার পরও এ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চালু রাখতে নিষেধাজ্ঞা নেই।

যাতে সরকারের মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পায়। এছাড়াও এসব বিষয় সুন্দর সমাজ ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরাই শ্রেষ্ঠ জাতি। মানবজাতির কল্যাণের জন্যই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা ভালো কাজের নির্দেশ দেবে এবং মন্দ কাজে বাধা দেবে।’ (সুরা আলে-ইমরান: ১১০)।  এ বিষয়ে বিশ্বনবী (স.) বলেন, ‘তোমরা জগদ্বাসীর প্রতি সদয় হও, তাহলে আসমানের মালিক আল্লাহ তাআলা তোমাদের প্রতি সদয় হবেন।’ (তিরমিজি: ১৮৪৭)

অবশেষে বলা যায়, রাত মানুষের ঘুমানোর জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। তাই ইসলামি রীতির বিরুদ্ধে না যাওয়াতেই মঙ্গল। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার এবং মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর