সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

জুমার সওয়াব বাড়াতে মসজিদে মানুন ১৫ আদব

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২৫, ১১:৩৮ এএম

শেয়ার করুন:

জুমার সওয়াব বাড়াতে মসজিদে মানুন ১৫ আদব

জুমাবার মুসলিম উম্মাহর জন্য এক বিশেষ মর্যাদার দিন। এ দিনটিকে হাদিসে ‘সপ্তাহের সেরা দিন’ এবং ‘সাপ্তাহিক ঈদ’ বলা হয়েছে। সৃষ্টির শুরু থেকেই জুমার দিনটি আল্লাহর নিকট গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাসম্পন্ন। এই দিনের প্রতিটি মুহূর্তে রয়েছে অফুরন্ত বরকত ও সওয়াব। বিশেষত জুমার নামাজের সময় মসজিদে অবস্থানের সময়কালটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তাই এ সময়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আদব ও আমল রয়েছে, যেগুলো আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করা বাঞ্ছনীয়।

নিচে জুমার দিন মসজিদে প্রবেশের পর থেকে নামাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত যে ১৫টি আমল ও আদব মেনে চলা উচিত, তা সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো।


বিজ্ঞাপন


১. আগেভাগে মসজিদে গিয়ে ইমামের কাছাকাছি বসা। (আবু দাউদ: ১১০৮)

২. সময় থাকলে দুই রাকাত নফল সালাত (তাহিয়্যাতুল মাসজিদ) আদায় করা। (সহিহ বুখারি: ১১৬৭)

৩. জুমার আগে চার রাকাত সুন্নত (কাবলাল জুমা) নামাজ পড়া। (আল মুজামুল আওসাত: ১৬১৭)

৪. বয়ান শুরু হলে সুন্নত নামাজ বিরত রেখে বয়ানের পরে পড়া। (মুসনাদে আহমদ: ২০৭২১)


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: জুমাবারে আছরের সময়টি যেভাবে কাটাবেন

৫. ইমামের দিকে মুখ করে শান্তভাবে বসা। (তিরমিজি: ৫০৯, ইবনে মাজাহ: ১১৩৬)

৬. চুপচাপ থাকা, নিচু কণ্ঠে জিকির-আজকার করা। (সুনানে নাসায়ি: ১৪০১)

৭. খুতবা মনোযোগ সহকারে শোনা এবং খুতবার সময় পুরোপুরি চুপ থাকা। (বুখারি: ৯৩৪; মুসলিম: ৮৫৭; আবু দাউদ: ১১১৩; আহমদ: ১/২৩০)

৮. অন্য মুসল্লিদের ঠেলে বা ঘাড় ডিঙিয়ে সামনে যাওয়া থেকে বিরত থাকা। (বুখারি: ৯১০, ৮৮৩; আবু দাউদ: ৩৪৩)

৯. এত জোরে কিছুও না পড়া যাতে অন্যের ইবাদতে বিঘ্ন ঘটে। (আবু দাউদ: ১৩৩২)

১০. কাউকে উঠিয়ে দিয়ে তার জায়গায় বসার চেষ্টা না করা। (বুখারি: ৯১১; মুসলিম: ২১৭৭, ২১৭৮)

আরও পড়ুন: যে আদব লঙ্ঘন করলে জুমাবারের সব ফজিলত নষ্ট হয়ে যায়

১১. কেউ কথা বললে ‘চুপ করুন’ বলাও খুতবার সময় নিষিদ্ধ। (নাসায়ি: ৭১৪; বুখারি: ৯৩৪)

১২. খুতবার সময় দুই হাঁটু উঠিয়ে বসা অনুচিত। (আবু দাউদ: ১১১০; ইবনে মাজাহ: ১১৩৪)

১৩. কাতারবদ্ধ হওয়ার সময় সামনে থেকে কাতার পূরণ করা। (মুসলিম: ৪৩০; রদ্দুল মুহতার: ১/৬৩৬)

১৪. ইমামের পেছনে মনোযোগ সহকারে জুমার দুই রাকাত ফরজ নামাজ আদায় করা। (সুরা জুমা: আয়াত ৯-১০)

১৫. জুমার ফরজের পর চার রাকাত সুন্নত সালাত আদায় করা। (বুখারি: ১৮২; মুসলিম: ৮৮১; আবু দাউদ: ১১৩০)

জুমার দিনের প্রতিটি নেক আমলের সওয়াব অনেক বেশি এবং আল্লাহর দরবারে এর মর্যাদা অসীম। তাই প্রতিটি মুসল্লির উচিত উপরে বর্ণিত আদব ও আমলগুলো আন্তরিকতার সঙ্গে পালন করা।

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে এই বরকতময় দিনটির পূর্ণ ফায়দা অর্জনের তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর