দ্রুততম সময়ে মাগুরায় ধর্ষণ ও হত্যার শিকার শিশু আছিয়া মামলার বিচারকাজ শেষ করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট দাঈ শায়খ আহমাদুল্লাহ। এভাবে অন্য মামলাগুলোও যেন দ্রুত বিচারকাজ শেষ করা হয় সে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। অপরাধ করে যেন কেউ পার না পায় সে ব্যাপারেও সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিশিষ্ট এই আলেম।
শনিবার (১৭ মে) আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে তিনি এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
শায়খ আহমাদুল্লাহ লিখেন- ‘আছিয়া হত্যা মামলার রায় দ্রুততম সময়ে হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ। আশা করি, অবিলম্বে রায় কার্যকরও হবে। তবে কেবল হিটু শেখ নয়, প্রভাবশালী আসামিদের ক্ষেত্রেও একই ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে—এই প্রত্যাশা করি।’
তিনি লিখেন- ‘অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে না, এটা বারবার এ দেশে প্রমাণিত হোক।’
এর আগে শনিবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান আলোচিত এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে প্রধান আসামি হিটু শেখের মৃত্যুদণ্ড এবং দুই ছেলে ও স্ত্রীকে খালাস ঘোষণা করা হয়েছে। এটি দেশের দ্রুততম রায়ের মধ্যে দ্বিতীয়।
আলোচিত এ মামলার বিচার কাজ অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করেন আদালত। ঘটনার মাত্র দুই মাস ১১ দিনের মাথায় এই মামলার রায় হয়।
বিজ্ঞাপন
মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে সকাল ৯টায় রায় ঘোষণা শুরু হয়।
গত ১৩ মার্চ ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আছিয়া। এর আগে মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে গত ৬ মার্চ ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। ঘটনার পর প্রথমে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল এবং পরে ফরিদপুর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটায় নেওয়া হয় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে।
ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির মা আয়েশা আক্তার ৮ মার্চ শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, শাশুড়ি জাহেদা বেগম, বোন জামাই সজিব শেখ এবং সজিবের বড় ভাই রাতুল শেখকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
জেবি

