বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

আয়নাঘরের স্মৃতিচারণ করে জুলুমের সঙ্গী হওয়া থেকে সতর্ক করলেন আজহারী

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০২:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

loading/img

আয়নাঘর নামের অমানবিক গুম-খুনের বন্দিশালা ও সবরকম জুলুমের অবসান প্রত্যাশা করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জনপ্রিয় ইসলামি আলোচক ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) নিজের ফেসবুক পেজের এক পোস্টে তিনি বলেন, আঁধারের আয়নাঘর আস্তাকুড়ে নিপাত যাক। চির অবসান হোক বীভৎস সব জুলুমের। নিশ্চিত হোক মানবিক বাংলাদেশ।


বিজ্ঞাপন


ফেসবুক স্ট্যাটাসে ড. আজহারী শেষ যুগের নেতাদের জুলুম সম্পর্কে নবীজির হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে ভক্ত ও দেশবাসীকে সতর্ক করেন এভাবে— রাসুল (স.) বলেন, হে কা’ব ইবনু উজরা! আমার পরে যেসব নেতার উদয় হবে আমি তাদের (অনিষ্টতা) থেকে তোমার জন্য আল্লাহ তাআলার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি। যে ব্যক্তি তাদের দ্বারস্থ হলো (সান্নিধ্য লাভ করলো), তাদের মিথ্যাকে সত্য বললো এবং তাদের স্বৈরাচার ও জুলুম-নির্যাতনে সহায়তা করলো, আমার সাথে এ ব্যক্তির কোনো সম্পর্ক নেই এবং এ ব্যক্তির সাথে আমারো কোনো সংস্রব নেই। এ ব্যক্তি কাওসার নামক হাউজের ধারে আমার নিকট আসতে পারবে না।

আরও পড়ুন: আয়নাঘরের বিভীষিকা যেন আর ফিরে না আসে: শায়খ আহমাদুল্লাহ

অপরদিকে যে ব্যক্তি তাদের দ্বারস্থ হলো (তাদের কোনো পদ গ্রহণ করলো) কিন্তু তাদের মিথ্যাকে সত্য বলে মানল না এবং তাদের স্বৈরাচার ও জুলুম-নির্যাতনে সহায়তা করলো না, আমার সাথে এ ব্যক্তির সম্পর্ক রয়েছে এবং এ ব্যক্তির সাথে আমারও সম্পর্ক রয়েছে। শীঘ্রই সে কাওসার নামক হাউজের কাছে আমার সাথে দেখা করবে। (সুনানে তিরমিজি : ৬১৪)

আরও পড়ুন: সাংবাদিক তাসনীম খলিলের বর্ণনায় আয়নাঘরের আদ্যোপান্ত


বিজ্ঞাপন


প্রসঙ্গত, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকাল বুধবার রাজধানীর কচুক্ষেত, আগারগাঁও এবং উত্তরা এলাকার তিনটি আয়নাঘর পরিদর্শন করেন। যেগুলো স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় টর্চার সেল এবং গোপন বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহার হতো। পরিদর্শনকালে প্রধান উপদেষ্টাসহ উপস্থিত প্রতিনিধিরা সেখানে ইলেকট্রিক চেয়ারসহ নির্যাতনের জন্য ব্যবহৃত উপকরণ দেখতে পান।

এসময় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও ভুক্তভোগীরা। ভুক্তভোগীরা তাদের নির্যাতনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।

আয়নাঘর পরিদর্শনশেষে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এরকম টর্চার সেল সারা বাংলাদেশজুড়ে আছে। আমার ধারণা ছিল, শুধু এখানে আয়নাঘর বলতে কয়েকটা আছে। এখন শুনতেছি, আয়নাঘরের বিভিন্ন ভার্সন সারা দেশজুড়ে আছে। কেউ বলে ৭০০, কেউ বলে ৮০০। সে সংখ্যাটা এখনো নিরূপণ করা যায়নি, কতটা জানা আছে, কতটা অজানা আছে। 

তিনি বলেন, আইয়ামে জাহেলিয়াত নামে একটা কথা আছে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার আইয়ামে জাহেলিয়াত প্রতিষ্ঠিত করে গেছে সর্বক্ষেত্রে। আয়নাঘর তার একটা নমুনা মাত্র।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর