শয়তানের প্ররোচনা ও নফসের তাড়নায় মানুষ পাপাচারের দিকে ধাবিত হয়। কিন্তু নিজেকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে গুনাহ থেকে বিরত থাকতে হয় প্রকৃত মুমিনকে। প্রবৃত্তির চাহিদাকে দমন করতে পারা ব্যক্তিকে সুসংবাদ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যে ব্যক্তি স্বীয় প্রতিপালকের সম্মুখে উপস্থিত হওয়ার ভয় রাখে এবং প্রবৃত্তি থেকে নিজেকে বিরত রাখে; জান্নাতই হবে তার আবাস।’ (সুরা নাজিয়াত: ৪০-৪১)
তবে, গুনাহের ইচ্ছার কারণে বা অন্তরে খারাপ কল্পনা এলেই গুনাহ হয় না। হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ তাআলা বলেন- إِذَا أَرَادَ عَبْدِي أَنْ يَعْمَلَ سَيِّئَةً فَلَا تَكْتُبُوهَا عَلَيْهِ حَتَّى يَعْمَلَهَا، فَإِنْ عَمِلَهَا فَاكْتُبُوهَا بِمِثْلِهَا، وَإِنْ تَرَكَهَا مِنْ أَجْلِي، فَاكْتُبُوهَا لَهُ حَسَنَةً، وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَعْمَلَ حَسَنَةً فَلَمْ يَعْمَلْهَا، فَاكْتُبُوهَا لَهُ حَسَنَةً، فَإِنْ عَمِلَهَا فَاكْتُبُوهَا لَهُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعمِائَةِ ضِعْفٍ ‘আমার বান্দা যখন কোনো পাপ করার ইচ্ছা করে, তখন তোমরা তা লিখ না যতক্ষণ না সে তা (বাস্তবে) করে। যদি সে তা (সত্যিই) করে, তাহলে সমান পাপ লিখ। আর যদি সে তা আমার কারণে ত্যাগ করে, তাহলে তার জন্য তা নেকি হিসেবে লিখ। আর যদি সে নেকি করার ইচ্ছা করে কিন্তু সে তা করেনি, তার জন্য তা নেকি হিসেবে লিখ। অতঃপর যদি সে তা করে তাহলে তার জন্য তা দশগুণ থেকে সাতশো গুণ পর্যন্ত লিখ।’
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: কোন ৩ ব্যক্তির ধ্বংস চাইলেন জিবরাইল, নবীজি বললেন আমিন
অন্য হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, আল্লাহ তাআলা আমার উম্মতের জন্য কথা কাজে পরিণত না করা পর্যন্ত তাদের মনের কল্পনাগুলো ক্ষমা করে দিয়েছেন।’ (সহিহ মুসলিম: ২৩১)
উপরোক্ত হাদিস দুটিতে স্পষ্টভাবেই বলা হয়েছে, মনে খারাপ কল্পনা এলেই তাতে গুনাহ হয় না। বাস্তবে গুনাহটি সংঘটিত হলে তবে একটি গুনাহ লেখা হয়। আর গুনাহটি না করলে সওয়াব লেখা হয়। অন্যদিকে নেক কাজের ইচ্ছা করলেই সওয়াব লেখা হয়, যদিও সে তা না করে। আর যদি নেক কাজটি করা হয় তাহলে দশ থেকে সত শ গুণ পর্যন্ত সওয়াব লেখা হয়।
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার তাওফিক দান করুন। বেশি বেশি নেক আমলের নিয়ত ও নেক আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

