কক্সবাজারের পেকুয়ায় শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) জনপ্রিয় ইসলামি বক্তা ড. মিজানুর রহমান আজহারীর মাহফিলে লাখ লাখ মানুষের ঢল নামে। স্টেজে উঠতে এবং অনুষ্ঠান শেষে স্টেজ থেকে নামতে তার প্রায় ঘণ্টাখানেক সময় লেগেছিল। এভাবে চলতে থাকলে নিরাপত্তার স্বার্থে তার পক্ষে বড় পাবলিক ইভেন্টগুলোতে যোগদান করা সম্ভব হবে না। এ আশংকা রোধে শ্রোতাদের কিছু বিষয় মেনে চলার বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারী।
আরও পড়ুন: আজহারীর আগমনের এক দিন আগেই কক্সবাজারে লাখো মানুষের ঢল
বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দিয়ে তিনি বলেন, আমি কুরআনের একজন নগন্য ছাত্র। আপনাদের দ্বীনি ভাই। দয়া করে আমার প্রতি একটু ইহসান করুন। সর্বশেষ দেশে ২০১৯-২০২০ সালেও ক্রাউড সামলাতে গিয়ে একাধিকবার ইনজুরির শিকার হয়েছিলাম। এবারও এরকম দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছি। দয়া করে স্টেজে যাওয়ার পথে কিংবা ফেরার পথে মুসাফাহা করার জন্য বা ছবি তোলার জন্য ভিড় করবেন না। আলোচনা চলাকালীন সময়ে স্টেজের দুই পাশে দাঁড়িয়ে ধাক্কাধাক্কি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবেন না।
আরও পড়ুন: দেশে ফিরলেন মিজানুর রহমান আজহারী
আজহারী বলেন, প্রতিটি প্রোগ্রামেই মূল প্যান্ডেলের বাইরে আলাদা মাঠে একাধিক সুবিশাল এলইডি স্ক্রিন থাকবে। আমাকে সরাসরি দেখতে না পেলেও এলইডিতে দেখার সুযোগ থাকছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে অযথা ঝামেলায় জড়াবেন না। সেইফ এন্ট্রি এবং সেইফ এক্সিট নিশ্চিতকরণে, আয়োজকদের সকল দিক নির্দেশনা মেনে চলুন।
সবার সহযোগিতায় চেয়ে তিনি লিখেন, অতি আবেগী হয়ে কুরআনের মাহফিলের পরিবেশ নষ্ট করা কাম্য নয়। কুরআন-প্রেমিরা স্মার্টলি সবকিছু হ্যান্ডেল করতে পারে। দয়া করে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিন। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া এতো বড় আয়োজনগুলো সফলভাবে সম্পন্ন করা অসম্ভব।

ভক্তদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমি আল্লাহর জন্য আপনাদেরকে ভালোবাসি এবং এটা বিশ্বাস করি, নিশ্চই আপনারাও আল্লাহর জন্যই আমাকে ভালোবাসেন। আপনাদের এই উষ্ণ ভালোলাগা আমি দূর থেকে ভীষণ অনুভব করি, কিন্তু আমরা সবাই যদি কাছে এসে মুসাফাহা করতে চাই, কথা বলতে চাই, ছবি সংরক্ষণ করতে চাই, তাহলে আল্লাহর জন্য ভালোবাসার এই দাবি পূরণ করা আমার জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। আমার এই সীমাবদ্ধতাকে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।

