পবিত্র রমজানের আর দুই মাস বাকি। এখন জমাদিউস সানি শেষের দিকে। সামনে রজব আর শাবান শেষ হলে রমজান। রজব শুরু হলেই মুসলমানরা রমজানের প্রস্তুতি শুরু করবেন। এখনই আল্লাহর অনেক বান্দা বুকভরা আশা নিয়ে আছেন, যেন রমজানের রোজা রাখার তাওফিক লাভ হয়। তারা অবশ্যই সওয়াব লাভ করবেন।
আসলে আল্লাহ তাআলা বান্দাকে সওয়াব দিতে কার্পণ্য করেন না। কেউ কোনো ভালো কাজের নিয়ত করলে সেটি করতে না পারলেও শুধু নিয়তের কারণে এর সওয়াব আমলনামায় লেখা হয়। আংশিক নয়, পূর্ণ সওয়াব লেখা হয়।
বিজ্ঞাপন
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো ভালো কাজের আশা করল, অতঃপর তা করতে পারল না, তবুও তার জন্য পূর্ণ সওয়াব লেখা হবে।’ (বুখারি: ৬৪৯১)
এই হাদিস প্রমাণ করছে, যদি আপনি ৩০টি রোজা রাখার আশা রাখেন, কিন্তু তার আগেই আপনার মৃত্যু হয়, তবুও আপনি ৩০টি রোজার সওয়াব পাবেন। সুবহানাল্লাহ!
যদি ভালো কাজটি করার তাওফিক লাভ হয়, তাহলে আপনার জন্য ১০ গুণ থেকে (আন্তরিকতা অনুপাতে) ৭০০ গুণ পর্যন্ত নেকি লিপিবদ্ধ করা হবে। আর সেই ভালো কাজটি যদি হয় রোজা, তাহলে তো ব্যাপারটি অন্যরকম। কারণ স্বয়ং আল্লাহ তাআলা বলেছেন- রোজার ব্যাপারটি ভিন্ন। কারণ রোজা আমার জন্য। সুতরাং এর প্রতিদান আমি নিজেই প্রদান করব। (দ্র: সহিহ মুসলিম: ১১৫১/১৬৪; সহিহ বুখারি: ১৮৯৪)
বিজ্ঞাপন
সুতরাং রমজানের রোজা রাখার আশা থাকলে, নিশ্চয় তা হবে অনেক বড় একটি আমল। হাদিসে প্রিয়নবী (স.) উম্মতকে এরকম সওয়াব কামানোর আরও অনেক ফজিলতপূর্ণ ইবাদতের কথা জানিয়ে দিয়েছেন। এক হাদিসে নবীজি (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি শয়নকালে রাতের বেলায় তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার নিয়ত করে শুয়েছে, কিন্তু অতিরিক্ত ঘুমের চাপে ভোর হয়ে গেছে সে তার নিয়ত অনুযায়ী সওয়াব পাবে। তার ঘুমই আল্লাহর পক্ষ থেকে ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে।’ (নাসায়ি: ৩/২৫৮)।
আরেকটি হাদিসে এসেছে, নবী (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সততার সঙ্গে (আল্লাহর পথে) শহীদ হওয়ার কামনা করবে, আল্লাহ তাকে শাহাদাতের মর্যাদা দেবেন, যদিও সে বিছানায় মৃত্যুবরণ করে।’ (মুসলিম: ৪৮২৪)

