বিয়ে চরিত্র রক্ষার হাতিয়ার। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে অসংখ্য ফেতনা, ক্ষয়-ক্ষতি, নানা অসুখ-বিসুখ ও সমস্যা থেকেও মুক্তি দান করেন বিয়ের কারণে। তাই সক্ষমতা থাকলে দ্রুত বিয়ে করা আবশ্যক। প্রিয়নবী (স.) বিয়ে করার জন্য বয়স নির্ধারণ করেননি। বরং সামর্থ্য হলেই দ্রুত বিয়ে করা নবীজির আদেশ।
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন- يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنِ اسْتَطَاعَ مِنْكُمُ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّهُ لَهُ وِجَاءٌ ‘হে যুবকেরা! তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিবাহ করে নেয়। কারণ, বিবাহ চক্ষুকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। আর যে ব্যক্তি তাতে অক্ষম, সে যেন রোজা রাখে, কেনা তা যৌন শক্তিকে হ্রাস করে।’ (বুখারি: ৫০৬৬; মুসলিম: ১৪০০, মেশকাত: ৩০৮০)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: কত বছর বয়সে বিয়ে করা সুন্নত
উক্ত হাদিসে নবীজি সামর্থ্যবান হলেই বিয়ে করতে বলেছেন। ইসলাম বিয়ের বয়স নির্দিষ্ট না করার কারণ হলো- শক্তি সামর্থ্য সবার একইরকম হয় না। অনেকে অল্প বয়সেই সামর্থ্যবান হয়ে যায়, আবার অনেকের একটু সময় লাগে। তাই যুক্তিও বলে- এর জন্য বয়স ঠিক না করা, বরং শক্তি-সামর্থ্যে উপযুক্ত হলেই বিয়ে করে নেওয়া।
অতএব, শারীরিক ও আর্থিক সক্ষমতা অর্জন হলে দ্রুত বিয়ে করা উচিত। এতে দ্বীন পালনও সহজ হয়ে যায়। ইরশাদ হয়েছে, ‘যখন বান্দা বিয়ে করে, তখন সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূরণ করে। অতএব, বাকি অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’ (সহিহ আল-জামিউস সাগির ওয়া জিয়াদাতুহু: ৬১৪৮; তাবারানি: ৯৭২; মুসতাদরাক হাকিম: ২৭২৮)
বিজ্ঞাপন
এছাড়াও বিয়ের মাধ্যমে রিজিকে বরকত ও জীবনে প্রাচুর্য আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, আর তোমাদের মধ্যে যে পুরুষদের স্ত্রী নেই এবং যে নারীদের স্বামী নেই, তাদের এবং তোমাদের দাস-দাসীদের মধ্যে যারা সৎ তাদের বিয়ে দিয়ে দাও। যদি তারা অভাবগ্রস্ত থাকে, তাহলে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের ধনী করে দেবেন। আর আল্লাহ প্রাচুর্যময় ও সর্বজ্ঞ। (সুরা নুর: ৩২)
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, তোমরা বিয়ে করো। স্ত্রীরা স্বীয় ভাগ্যে তোমাদের নিকট সম্পদ টেনে আনবে।’ (মুসনাদে বাজ্জার: ১৪০২) আল্লাহ তাআলা মুসলিম অবিবাহিত যুবক-যুবতীদের যথাসময়ে বিয়ে করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

