ইসলামে এমন কিছু সহজ আমলের উপদেশ আছে, যেগুলো যথাযথ পালনে রয়েছে অনেক উপকারিতা। দীর্ঘ হায়াতও একটি বড় পাওয়া, যদি ওই হায়াতে বেশি বেশি নেক আমল যোগ হয়।
বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (স.) ঘোষণা করেছেন, দৈনন্দিন জীবনে ওঠা-বসা, চলাফেরা, দেখা-সাক্ষাতে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা কিংবা তাদের পারস্পরিক খোঁজ খবর রাখলে নেক হায়াত বেড়ে যাবে। হাদিসে এসেছে—
বিজ্ঞাপন
কুশলাদি জিজ্ঞেস করা, আন্তরিক হওয়া ও দয়া-মায়া দেখানোই হলো সুসম্পর্ক। এই সুসম্পর্ক রক্ষাকারী প্রকৃতপক্ষে কারা, তাদেরকেও পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে হাদিসে।
রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেন, ‘সে আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষাকারী নয়, যে সম্পর্ক রক্ষার বিনিময়ে সম্পর্ক রক্ষা করে। বরং প্রকৃত সম্পর্ক রক্ষাকারী সে-ই, যার সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরলে সে তা জোড়া দেয়।’ (বুখারি: ৫৯৯১)
নিজের ভাই-বোন, চাচা-মামা, খালা-ফুফু ও নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে উত্তম আচরণ ও সুসম্পর্ক বজায় রাখতে আল্লাহর নির্দেশ -وَاتَّقُواْ اللّهَ الَّذِي تَسَاءلُونَ بِهِ وَالأَرْحَامَ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلَيْكُمْ رَقِيبًا অর্থ- আর আল্লাহকে ভয় করো, যাঁর নামে তোমরা একে অপরের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে থাকো এবং আত্নীয়তার সম্পর্কের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করো। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের ব্যাপারে সচেতন রয়েছেন।’ (সুরা নিসা: আয়াত ০১)
বিজ্ঞাপন
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নেক হায়াত লাভের আমল যথাযথ পালনের তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএ/

