পৃথিবীতে ইসলাম একটাই। অঞ্চল ভেদে ইসলামে কখনো পরিবর্তন হয় না। নদীয়ার ইসলাম বলতে আলাদা কোনো ইসলাম নেই। কোনটা ইসলাম আর কোনটা ইসলাম নয়, সেটা নির্ণয় করার নিক্তি কুরআন ও সুন্নাহ। এটা বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের কাছে স্বীকৃত বিষয়।
আরও পড়ুন: ‘ইসলামে প্রমাণ ছাড়া কাউকে শাস্তি দেওয়া দূরের কথা, সন্দেহ করাটাই অপরাধ’
বিজ্ঞাপন
ইসলামের বেলায় আজ যারা প্রকৃত ইসলামের কথা না বলে নদীয়ার ইসলামের কথা বলেন, সব ক্ষেত্রে কি তারা সেটা করেন? গণতন্ত্রের বেলায় তারা প্রকৃত গণতন্ত্র খোঁজেন, নাকি মামলা-হামলা দিয়ে প্রতিপক্ষকে দমন ও রাতের ভোটের প্রচলিত দেশীয় গণতন্ত্রের কথা বলেন?
গণতন্ত্রের জন্ম আমেরিকায়। কিন্তু আমাদের দেশের প্রচলিত গণতন্ত্র আর আমেরিকার গণতন্ত্রের মাঝে রয়েছে বিস্তর ফারাক। যারা ইসলামকে আঞ্চলিকতায় বিভাজিত করেন, তারা কি আমেরিকার প্রচলিত গণতন্ত্রের বিপরীতে বাংলাদেশের প্রচলিত আঞ্চলিক গণতন্ত্রের কালচারকে ধারণ করার কথা বলেন?
আরও পড়ুন: সরকারি টাকায় হজ করা বিলাসিতা: শায়খ আহমাদুল্লাহ
তাছাড়া, এদেশে নদীয়ার তথাকথিত ইসলামকে ধারণ করা মানুষের সংখ্যা ১%-ও হবে না। এর বিপরীতে প্রায় ৯৯% মুসলমান আরবের ইসলাম তথা কুরআন-হাদিস বর্ণিত ইসলামে বিশ্বাস করেন।
বিজ্ঞাপন
এই বিপুল সংখ্যক মানুষের ওপর তারা কোন ইসলাম চাপিয়ে দিতে চান? কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে নদীয়ার কথিত ও বিকৃত ইসলামকে ধারণ করেন, সেটা তার ব্যাপার। কিন্তু সেই ইসলামকে যদি সবার ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয় এবং সেটাকেই বাংলাদেশের ইসলাম বলা হয়, তবে তা বিনোদনের আইটেম হতে পারে, কিন্তু ইসলাম নয়।
অদ্ভুত এক দেশ আমাদের। এখানে যে কোন বিষয়ে বিশ্লেষণ করার জন্য সে বিষয়ে এক্সপার্ট হওয়া লাগলেও ইসলামের ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করতে পারেন যে কেউ।
শায়খ আহমাদুল্লাহর ফেসবুক পেজ থেকে
উল্লেখ্য, ‘নদীয়ার ইসলাম’ বলতে মূলত নদীয়া জেলা (বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের একটি অংশ) থেকে উদ্ভূত একটি বিশেষ ইসলামি ধারাকে বোঝানো হয়ে থাকে। যাকে ইসলাম এবং হিন্দু ধর্মের মধ্যে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধনের একটি রূপ হিসেবে দেখতে চায় কেউ কেউ।

