সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

মাগরিবের পর যে আমল করলে রহমতের ফেরেশতারা ঘিরে রাখেন

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০ পিএম

শেয়ার করুন:

মাগরিবের পর যে আমল করলে রহমতের ফেরেশতারা ঘিরে রাখেন

মাগরিবের পরের নফল নামাজের অনেক ফজিলত রয়েছে। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, মাগরিবের পর ৬ রাকাত নামাজ তথা আওয়াবিন নামাজ পড়লে ১২ বছরের ইবাদতের সমান সওয়াব লাভ হয়। রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি ছয় রাকাত নামাজ মাগরিবের পর পড়বে, যার মাঝে আল্লাহর জিকির ছাড়া কোনো কথা বলে না, তাহলে সে ১২ বছর ইবাদতের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। (সহিহ ইবনে খুজাইমা: ১১৯৫) 

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকাত নামাজ পড়ে, যার মাঝে কোনো মন্দ কথা বলে না, তাহলে সে ১২ বছরের ইবাদতের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে। (সুনানে তিরমিজি: ৪৩৫, ইবনে মাজাহ: ১৩৭৪)


বিজ্ঞাপন


এ নামাজকে আরবিতে সালাতুল আওয়াবিন বলা হয়। সালফে সালেহিনরা আওয়াবিন নামাজ ছাড়তে চাইতেন না। কারণ, এই নামাজ আদায়কারীকে রহমতের ফেরেশতারা ঘিরে রাখেন। আব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নিশ্চয় ফেরেশতাগণ ওই লোকদের ঘিরে রাখেন, যারা মাগরিব ও এশার মাঝখানে নামাজ পড়ে। আর এটা হলো সালাতুল আওয়াবিন। (শরহুস সুন্নাহ লিলবাগাবি: ৮৯৭)

আরও পড়ুন: ফরজ বাধ্যতামূলক, নফলে আল্লাহর নৈকট্য 

নবীজি (স.) এই নফল নামাজ অনেক্ষণ ধরে পড়তেন। হজরত হুজাইফা (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি রাসুলুল্লাহ (স.)-এর সঙ্গে মাগরিব নামাজ আদায় করলেন। ফরজ শেষে তিনি নফল পড়তে লাগলেন এশা পর্যন্ত। (সহিহ ইবনে খুজাইমা: ১১৯৪)

হাদিস শরিফে আওয়াবিনের ৬ রাকাতের ফজিলত বর্ণিত হলেও এই নামাজ সর্বোচ্চ ২০ রাকাত পর্যন্ত পড়ার প্রমাণ পাওয়া যায়। আওয়াবিন নামাজের জন্য বিশেষ কোনো সুরা নির্দিষ্ট নেই। (মাজমাউল আনহুর: ১/১৯৫, তিরমিজি: ৪৩৫, ফতোয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত: ৩/১৫৫)


বিজ্ঞাপন


আওয়াবিন শব্দটি ‘আওয়াব’ শব্দ থেকে নির্গত। অর্থ হলো খোদাভীরু। মাগরিবের নামাজের পর আওয়াবিনের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং এশার আগ পর্যন্ত তার সময় বাকি থাকে। আব্দুল্লাহ বিন ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মাগরিবের নামাজ শেষ করার পর থেকে এশার নামাজের সময় হওয়া পর্যন্ত যে নামাজ পড়া হয় তাকে সালাতুল আওয়াবিন বলে। (মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৫৯২২)

আরও পড়ুন: যে নামাজে সব গুনাহ মাফ

ইবনুল মুনকাদির এবং আবু হাযেম বলেন, সুরা সাজদার ১৬ নং আয়াত (তাদের পার্শ্ব শয্যা থেকে আলাদা থাকে) দ্বারা উদ্দেশ্য হলো- যে নামাজ মাগরিব ও এশার মাঝখানে পড়া হয়। সেটা হলো আওয়াবিনের নামাজ। (শুয়াবুল ঈমান লিলবায়হাকি: ২৮৪০, সুনানুল কুবরা লিলবায়হাকি: ৪৮১৩)

কিছু ওলামায়ে কেরামের মতে, মাগরিবের ফরজের পরই আওয়াবিনের সময় শুরু হয়। সেই হিসেবে মাগরিবের ফরজের পর দুই রাকাত সুন্নতে মোয়াক্কাদাসহ সর্বমোট ছয় রাকাত পড়ার দ্বারা আওয়াবিন পড়ার সওয়াব পেয়ে যাবে। তবে দুই রাকাত সুন্নত পড়ার পর ছয় রাকাত আওয়াবিন পড়াই শ্রেয়।

আল্লাহ তাআলা আমাদের আওয়াবিন নামাজসহ বেশি বেশি নফল ইবাদত করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর