শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে দূরে রাখায় কী লাভ হয়েছে, প্রশ্ন শায়খ আহমাদুল্লাহর

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম

শেয়ার করুন:

রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে দূরে রাখায় কী লাভ হয়েছে, প্রশ্ন শায়খ আহমাদুল্লাহর

বিগত ৫০ বছর যাবৎ দেশের সকল সিদ্ধান্তকে নিয়ন্ত্রণ করছে কথিত প্রগতিশীল শক্তি। এরা সবসময়ই ধর্মকে রাষ্ট্রের কেন্দ্র থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে। শুধু তাই নয়, তারা ইনিয়ে-বিনিয়ে বলার চেষ্টা করেছে— উন্নতির পথে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ধর্ম। 

অথচ ধর্মকে অগ্রাধিকার দিয়েও যে কোনো দেশ উন্নতির শিখরে উঠতে পারে, তার বড় উদাহরণের নাম মালয়েশিয়া। তাদের সংবিধানের ৩ (১) ধারায় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম উল্লেখ করে অন্যান্য ধর্মের স্বাধীনতা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


সেখানকার মোট জনগোষ্ঠীর ৬০-৬৫% মুসলমান। তার ওপর ভিত্তি করে তারা যদি ইসলামকে রাষ্ট্রের কেন্দ্রে রাখতে পারে, সকল কাজে ইসলামকে ধারণ করে তারা যদি বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারে, তবে বাংলাদেশে সমস্যাটা ঠিক কোন জায়গায়?

শুধু মালয়েশিয়াই নয়, এমন আরো বহু দেশ রাষ্ট্রধর্মকে স্বীকার করে তার আলোকে দেশ পরিচালনা করে এগিয়ে গেছে। চোখের সামনে উন্নতির এমন জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ থাকার পরও ধর্মই এদেশের প্রগতিশীলদের প্রধান শত্রু।

screen-shot-01

অথচ যুগের পর যুগ রাষ্ট্র থেকে ধর্মের বিযুক্তি আমাদের দেশকে কী দিয়েছে, কতটুকু উন্নত করেছে, এটা সময়ের বড় প্রশ্ন।


বিজ্ঞাপন


এরচেয়ে যদি রাষ্ট্র পরিচালনায় সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মূল্যবোধকে অগ্রাধিকার দেয়া হতো, তাদেরকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হতো, যদি তাদের ভেতর এই অনুভব ছড়িয়ে দেয়া যেত যে, তারা বাইরের কেউ নয়, তারা এই দেশের মালিক, তবে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য তারা সবকিছু উজাড় করে দিত। এতে দিনশেষে লাভবান হতো আমাদের এই দেশটাই।

screen-shot-02

মালয়েশিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাশে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ। সেখান প্রধানমন্ত্রীসহ অন্যান্য মন্ত্রীগণ নিয়মিত নামাজ আদায় করেন। আইকনিক কোনো ইসলামিক ব্যক্তিত্ব দেশে আসলে রাষ্ট্রীয় প্রটৌকল দেওয়া হয়। সেখানকার মন্ত্রী এমপিসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ ইসলাম পালনের চেষ্টা করেন। নারী পুলিশের ইউনিফরমে হিজাব আছে। এগুলোর কোনোকিছুই যদি মালয়েশিয়ার উন্নতির পথে অন্তরায় না হয়, তবে বাংলাদেশে বাধা কোথায়!

গুটিকয় প্রগতিশীল এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। সংখ্যাগরিষ্ঠরা কিছু বললেই তাদেরকে বিভিন্ন রাষ্ট্রে চলে যাওয়ার হুমকি দেয়া হয়। এভাবে দিনের পর দিন জনগণের গণআকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করা হবে, তাদেরকে দেশ থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়া হবে, এটাই কি কথিত প্রগতিশীলদের গণতান্ত্রিক আচরণের স্বরূপ?

শায়খ আহমাদুল্লাহর ফেসবুক পেজ থেকে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর