রোববার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ঢাকা

জুমার দিন দরুদ পড়ার ৫ ফজিলত

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:২৪ পিএম

শেয়ার করুন:

জুমার দিন দরুদ পড়ার ৫ উপকার

জুমাবার মুসলমানদের কাছে একটি কাঙ্ক্ষিত দিন। অধিক মর্যাদাসম্পন্ন এই দিনকে সাপ্তাহিক ঈদ বলা হয়েছে হাদিসে। ‘আল জুমা’ নামে পবিত্র কুরআনে একটি স্বতন্ত্র সুরা আছে। জুমার দিনে মুমিনদের জন্য বিশেষ কিছু আমলের কথা বলা আছে হাদিসে। এর মধ্যে একটি ফজিলতপূর্ণ আমল হলো দরুদ পাঠ। মহান আল্লাহও প্রিয়নবীর ওপর দরুদ অবতীর্ণ করেন, ফেরেশতারাও নবী (স.)-এর প্রতি রহমত ও বরকত কামনা করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিন! তোমরাও তাঁর ওপর দরুদ পাঠ করো এবং সালাম প্রেরণ করো।’ (সুরা আহজাব: ৫৬)

জুমার দিন দরুদ পড়ার উপকার
১. দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেরেশতা নবীজির কাছে দরুদ পৌঁছিয়ে দেন
রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা জুমার দিনে আমার ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো, কেননা তোমাদের পাঠকৃত দরুদ আমার সামনে পেশ করা হয়। (আবু দাউদ: ১০৪৭)


বিজ্ঞাপন


২. রহমত নাজিল হয়
হাদিসে কুদসিতে মহানবী (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পড়ো। কারণ, জিবরাইল (আ.) এইমাত্র আল্লাহ তাআলার বাণী নিয়ে হাজির হলেন। আল্লাহ তাআলা বলেছেন, “পৃথিবীতে যখন কোনো মুসলমান আপনার ওপর একবার দরুদ পড়ে, আমি তার ওপর দশবার রহমত নাজিল করি এবং আমার সব ফেরেশতা তার জন্য দশবার ইস্তেগফার করে।’’ (তারগিব: ৩/২৯৯) অন্য হাদিসে, আনাস বিন মালেক (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, তোমরা জুমার দিন ও জুমার রাতে আমার প্রতি বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ যে আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করে আল্লাহ তার ওপর ১০টি রহমত নাজিল করেন। (সহিহুল জামে: ১২০৯)

আরও পড়ুন: দরুদ ও সালামের অসামান্য ফজিলত

৩. ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব
হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত এক হাদিসে আল্লাহর রাসুল (স.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন আছর নামাজের পর ওই স্থানে বসা অবস্থায় ৮০ বার নিম্নলিখিত দরুদ শরিফ পাঠ করবে, তার ৮০ বছরের গুনাহ মাফ এবং ৮০ বছরের নফল ইবাদতের সওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে। দরুদটি হলো— اللهم صل على محمد النبي الأمي وعلى آله وسلم تسليمًا ‘আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহী ওয়াসাল্লিম তাসলীমা’। (আফদালুস সালাওয়াত: ২৬)

৪. পরকালে চেহারায় নূরের জ্যোতি দৃশ্যমান হবে
হজরত আলি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘যে ব্যক্তি নবী কারিম (স.)-এর ওপর জুমার দিন ১০০ বার দরুদ পাঠ করে, সে কেয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উঠবে যে, তার চেহারায় নূরের জ্যোতি দেখে লোকেরা বলাবলি করতে থাকবে এই ব্যক্তি কী আমল করেছিল!’ (কানজুল উম্মাল: ১৭৪)


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: জুমার দিন দরুদ ও সুরা কাহাফ পড়তে বলা হয়েছে যে কারণে

৫. কেয়ামতের দিন নবীজির সাথে থাকবে
আবু উমামা (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসুল (স.) বলেন, ‘আমার ওপর জুমার দিন বেশি বেশি দরুদ পাঠ করো। কারণ আমার উম্মতের দরুদ জুমার দিন আমার কাছে পৌঁছানো হয়। যে ব্যক্তি আমার ওপর সবচেয়ে বেশি দরুদ পাঠাবে, সে ব্যক্তি কেয়ামতের দিন সবচেয়ে আমার নিকটতম হবে।’ (তারগিব: ১৫৭)

সুতরাং হাদিসে উল্লেখিত ফজিলত লাভের জন্য বিশেষ করে জুমার দিনে বেশি বেশি দরুদ পাঠ সকল মুসলমানের জন্য বাঞ্ছনীয়। অন্য দিনেও দরুদ পাঠের গুরুত্ব অসীম। আল্লাহর রহমত পেতে হলে রাসুলুল্লাহ (স.)-এর ওপর দরুদ পড়ার বিকল্প নেই। আল্লাহ তাআলা মুসললিম উম্মাহকে নবী কারিম (স.)-এর ওপর বেশি বেশি দরুদ পাঠের তওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর