শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

হজের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নতসমূহ

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৯ মে ২০২২, ০৯:৩০ এএম

শেয়ার করুন:

হজের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নতসমূহ

হজ ইসলামি শরিয়তের অন্যতম স্তম্ভ ও ফরজ ইবাদত। ইরশাদ হয়েছে, ‘প্রত্যেক সামর্থ্যবান মানুষের ওপর আল্লাহর জন্য বায়তুল্লাহর হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান: ৯৭)। হজ না করার পরিণতি সম্পর্কে হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘যে বান্দাকে আমি দৈহিক সুস্থতা দিয়েছি এবং আর্থিক প্রাচুর্য দান করেছি, অতঃপর (গড়িমসি করে) তার পাঁচ বছর অতিবাহিত হয়ে যায় অথচ আমার দিকে (হজব্রত পালন করতে) আগমন করে না, সে অবশ্যই বঞ্চিত।’ (ইবনে হিব্বান: ৩৭০৩)

হজের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নতসমূহ কী, নিচে সংক্ষিপ্তাকারে তুলে ধরা হলো—


বিজ্ঞাপন


হজের ফরজ কাজ তিনটি

১. ইহরাম বাঁধা
২. উকুফে আরাফা (বা আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা)
৩. তাওয়াফে জিয়ারত বা কাবাঘর তাওয়াফ।

হজের ওয়াজিব কাজ ৬টি

হজের ওয়াজিব কাজ ৬টি
১. জিলহজের ১০ তারিখ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত যেকোনো সময়ে মুজদালিফায় অবস্থান করা। (সুরা বাকারা: ১৯৮)
২. সাফা-মারওয়ায় সাতটি দৌড়। এটিকে সায়ি বলা হয়। দৌড় শুরু হবে সাফা থেকে আর শেষ হবে মারওয়ায়। (মুসলিম: ২১৩৭)
৩. শয়তানকে পাথর মারা। (মুসলিম: ২২৮৬)
৪. তামাত্তু ও কিরান হজকারীদের দমে শোকর বা হজের কোরবানি করা।
৫. হারাম শরিফের সীমানায় কোরবানির দিনগুলোতে মাথা মুণ্ডানো বা চুল ছোট করা। (বুখারি: ১৬১৩)
৫. বিদায়ী তাওয়াফে করা। (মুসলিম: ২৩৫০)


বিজ্ঞাপন


হজের সুন্নত কাজসমূহ

রুকন ও ওয়াজিব ছাড়া হজের অবশিষ্ট কার্যাবলী হচ্ছে সুন্নত। যেমন, ইহরাম বাঁধার পূর্বে গোসল করা, শরীরে সুগন্ধি ব্যবহার করা ও দুই রাকাত নামজা পড়া, সাদা রঙের কাপড় দিয়ে পুরুষের জন্য ইহরাম বাধা, তাওয়াফে কুদুম, আরাফার রাতে মিনাতে রাতযাপন, মক্কায় থাকাকালীন বেশি বেশি তাওয়াফ, যথাযথ সময়ে ইজতিবা ও রমল করা, তালবিয়া পাঠ (প্রথম তালবিয়া ইহরাম বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য আবশ্যক) হাজরে আসওয়াদকে চুমু খাওয়া, দোয়া ও জিকির পড়া ইত্যাদি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথ হজ পালনে বিশুদ্ধ সুন্নাহ জানার ও মেনে চলার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর