সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ঈদের দ্বিতীয়-তৃতীয় দিনে পশু কোরবানির বিধান

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২৪, ০৫:০৬ পিএম

শেয়ার করুন:

ঈদের দ্বিতীয়-তৃতীয় দিনে পশু কোরবানির বিধান

কোরবানি মুসলমানদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান। এটি ইসলামের একটি শিয়ার বা মহান নিদর্শন। শরয়ি দৃষ্টিকোণ থেকে সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর কোরবানি ওয়াজিব হয়। আল্লাহ তাআলা কোরবানির নির্দেশ দিয়ে বলেন— ‘আপনি আপনার রবের উদ্দেশ্যে নামাজ পড়ুন এবং কোরবানি আদায় করুন।’ (সুরা কাউসার: ২)

সাধারণত ঈদুল আজহার দিনে (১০ জিলহজ) আমরা কোরবানি করে থাকি এবং এই দিনকেই আমরা কোরবানির দিন বলে আখ্যায়িত করি। বাস্তবে এই দিন ছাড়াও পরবর্তী দুই দিন তথা জিলহজের ১১ ও ১২ তারিখেও কোরবানি করা যায়। ১০ জিলহজ কোরবানি করা উত্তম, তা না পারলে ১১ জিলহজ তারিখে করা ভালো। 


বিজ্ঞাপন


ইসলামে ১১ জিলহজ তারিখও বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ দিন। হাদিসে এ দিনটিকে ঈদুল আজহার প্রথম দিনের পরে সবচেয়ে মর্যাদপূর্ণ দিন বলা হয়েছে। রাসুল (স.) বলেছেন- إِنَّ أَعْظَمَ الأَيَّامِ عِنْدَ اللَّهِ تَبَارَكَ وَتَعَالَى يَوْمُ النَّحْرِ ثُمَّ يَوْمُ الْقَرِّ দিনগুলোর মধ্যে আল্লাহর নিকট সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো নহরের দিন (অর্থাৎ কোরবানির প্রথম দিন) এরপর এর পরবর্তী দিন ( অর্থাৎ কোরবানির দ্বিতীয় দিন)। (আবু দাউদ: ১৭৬৫)

আরও পড়ুন: কী পরিমাণ জমি থাকলে কোরবানি ওয়াজিব হয়?

ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিন (১১ জিলহজ) সারাদিন কোরবানি করা যাবে। ফজরের পর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমনকি রাতেও পশু কোরবানি করলে কোরবানি শুদ্ধ হবে। তবে রাতে কোরবানি করা অনুত্তম, কেননা তখন পশু জবাইয়ে ভুল হওয়ার আশংকা থাকে।

ইসলামি শরিয়তে কোরবানির মোট সময় তিন দিন। ১০ জিলহজ ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে শুরু করে জিলহজের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্ব পর্যন্ত। তবে সম্ভব হলে জিলহজের ১০ তারিখেই (প্রথম দিনে) কোরবানি করা উত্তম। জিলহজের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পর আর কোরবানি করার সুযোগ থাকে না। (মুয়াত্তা মালেক: ১৮৮; বাদায়েউস সানায়ে: ৪/১৯৮, ২৩; হিন্দিয়া: ৫/২৯৫)


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: যৌথ পরিবারে কোরবানি, সচরাচর ভুল ও সঠিক নিয়ম

কোরবানির এই তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পরে ওয়াজিব কোরবানির জন্য কেউ পশু জবাই করলে সেই গোশত নিজে রেখে দিতে পারবে না। বরং সব গোশতই সদকা করে দিতে হবে। আর জবাই না করলে খরিদকৃত পশুই সদকা করে দিতে হবে। একইভাবে কেউ অজ্ঞতা বা অবহেলাবশত ওয়াজিব কোরবানি না দিলে তার ওপর কোরবানির উপযুক্ত একটি ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। (বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২০৪; ৪/২০২; ফতোয়ায়ে কাজিখান: ৩/৩৪৫; আদ্দুররুল মুখতার: ৬/৩২০-৩২১)

কেউ ওয়াজিব কোরবানি আদায় না করলে, পরে গরিব হয়ে গেলেও তার ওপর কোরবানিযোগ্য ছাগল সদকা করা আবশ্যক। দরিদ্র হওয়ার কারণে কোরবানি মাফ হবে না। সুতরাং সে আদায় করে যেতে না পারলে তা আদায় করে দেওয়ার জন্য অসিয়ত করে যেতে হবে। (বাদায়েউস সানায়ে: ৫/৬৫ আল ইখতিয়ার: ৫/২০)

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর