সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কোরআন আসলে কার জন্য সুপারিশ করবে

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২৪, ০১:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

কোরআন আসলে কার জন্য সুপারিশ করবে

কোরআনুল কারিম সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ ঐশীগ্রন্থ। যার তেলাওয়াত, অধ্যয়ন ও বাস্তবায়নের মধ্যে রয়েছে মানবজাতির কল্যাণ ও সফলতা। হাশরের ময়দানে বান্দার নেক আমল নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, দান-সদকাসহ সব ইবাদতের একটা আকৃতি থাকবে এবং বান্দার মুক্তির জন্য সেগুলোর ভূমিকা থাকবে। এসময় কোরআন তার সঙ্গীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

যে ব্যক্তি দুনিয়ার জীবনে কোরআন কারিমকে নিজের সঙ্গী বানাবে কেয়ামতের দিন কোরআন তাকে ভুলবে না। সেই বিভীষিকাময় মুহূর্তে কোরআন তাকে সঙ্গ দেবে এবং তার জন্য সুপারিশ করবে। আবু উমামা বাহেলি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) ইরশাদ করেছেন- اقْرَؤُوا الْقُرْآنَ فَإِنّهُ يَأْتِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ شَفِيعًا لأَصْحَابِهِ ‘তোমরা কোরআন পড়ো। কেননা কেয়ামতের দিন কোরআন তার ‘সঙ্গীর’ জন্য সুপারিশ করবে। (সহিহ মুসলিম: ৮০৪; মেশকাত: ২১২০)


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: প্রতিদিন কোরআন তেলাওয়াতের ফজিলত

কোরআনের সঙ্গী কারা? মুহাদ্দিসিনে কেরাম বলেন, ‘সাহিবে কোরআন’ বা কোরআনের সঙ্গী বলা হয় ওই ব্যক্তিকে, যিনি কোরআন নিয়ে ব্যতিব্যস্ত থাকেন। কোরআন তেলাওয়াতে মাশগুল থাকেন, কোরআনের হেদায়াত ও বার্তাগুলো গ্রহণ করেন, কোরআনের বিধানগুলো আমল করেন এবং কোরআনের হিফজ করেন। মোটকথা কোরআনই থাকে তার জীবনের আরাধনা। (দ্রষ্টব্য: কুতুল মুগতাজি আলা জামিইত তিরমিজি: ২/৭৩২)

আরও পড়ুন: রাতে ১০০ আয়াত তেলাওয়াত করলে যে প্রতিদান পাবেন

অতএব, কোরআনের সাহিব (সঙ্গী) হওয়ার জন্য সচেষ্ট থাকতে হবে। কেয়ামতের দিন কোরআনুল কারিম সঙ্গীর জন্য আরও সুপারিশ করবে। যেমন এক হাদিসে এসেছে, কেয়ামতের দিন (সুপারিশের জন্য) কোরআন আগমন করবে। সে বলবে, ইয়া রব! আপনি তার পোশাকের ব্যবস্থা করুন। তখন তাকে সম্মানের মুকুট পরানো হবে। এরপর কোরআন আবার বলবে, ইয়া রব! তাকে আরো সম্মানিত করুন। তখন তাকে সম্মানের পোশাক পরানো হবে। এরপর কোরআন বলবে, ইয়া রব! আপনি তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যান। তখন আল্লাহ  তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যাবেন। তখন সেই সাহিবে কোরআনকে বলা হবে, তুমি কোরআন পড়তে থাক আর (জান্নাতের সমুন্নত প্রাসাদে) চড়তে থাক। প্রতিটি আয়াতের বিনিময়ে তাকে কল্যাণ দেওয়া হবে। (জামে তিরমিজি: ২৯১৫)


বিজ্ঞাপন


প্রতিদিন কত সময় বেহুদা কাজেই কেটে যায়! অথচ চাইলেই তেলাওয়াত, তাফসির, শুদ্ধভাবে কোরআন শেখা ও মুখস্থ করা মতো গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলোর কিছু না কিছু প্রতিদিনই করা যায়। আসলে প্রয়োজন শুধু একটু সদিচ্ছা ও পরিকল্পনা। আল্লাহ আমাদের তাওফিক নসিব করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর