শাওয়ালের ৬ রোজা অনেক ফজিলতপূর্ণ সুন্নত। এ রোজার ব্যাপারে উৎসাহমূলক কথা এসেছে হাদিসের বিভিন্ন বর্ণনায়। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি রমজানের রোজা রাখল অতঃপর শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখল, সে যেন সারা বছরই রোজা রাখল।’ (মুসলিম: ১১৬৪; আবু দাউদ: ২৪৩৩)
এ ফজিলত লাভের জন্য ছয়টি নফল রোজা রাখতে হবে শাওয়াল মাস শেষ হওয়ার আগেই। অর্থাৎ এ বছর (২০২৪) ২৯ শাওয়াল মোতাবেক ৯ মে পর্যন্ত এ রোজাগুলো রাখার সুযোগ থাকছে।
বিজ্ঞাপন
এই রোজাগুলো রাখার ব্যাপারে বিশেষ কোনো দিন নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়নি হাদিস শরিফে। বিজ্ঞ ফিকহবিদ ও আলেমদের অভিমত হলো— ঈদের দিনটি বাদ দিয়ে শাওয়াল মাসের যেকোনো ছয়দিনে রোজা রাখলেই হবে। ধারাবাহিকভাবেও এই ছয়টি রোজা রাখা যাবে, আবার বিরতি দিয়ে দিয়ে ছয়টি রোজা পূরণ করতে পারলেও হাদিসে বর্ণিত সওয়াব পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: শাওয়ালের ৬ রোজার নিয়ম কানুন ও ফজিলত
আবার, সাপ্তাহিক সুন্নত রোজা অর্থাৎ প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবারের রোজার সাথে মিল রেখে সহজেই শাওয়ালের রোজাগুলো রাখা যায়। কেউ যদি শাওয়াল মাসের প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার রোজা রাখে, তাহলে তিন সপ্তাহেই সহজে তার ছয়টি রোজা পূর্ণ হয়ে যাবে।
আইয়ামে বিজের সঙ্গে মিল রেখেও রোজাগুলো রাখা যায়। আইয়ামে বিজ বলতে হিজরি বছরের প্রতি মাসের ১৩, ১৪ এবং ১৫ তারিখকে বোঝানো হয়। প্রতি মাসে এ দিনগুলোতে রোজা রাখা সুন্নত।
বিজ্ঞাপন
তবে শাওয়ালের রোজাগুলো যত তাড়াতাড়ি আদায় করা যায় ততই ভালো। কেননা আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তারাই দ্রুত সম্পাদন করে কল্যাণকর কাজ এবং তারা তাতে অগ্রগামী হয়।’ (সুরা মুমিনুন: ২৮)
আরও ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা তোমাদের রবের পক্ষ থেকে ক্ষমা এবং এমন জান্নাতের দিকে দ্রুত ধাবিত হও, যার প্রশস্ততা হবে আকাশসমূহ ও জমিনসম। তা মুত্তাকিদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩৩)

