সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কোরবানির গরুতে একভাগ ছেলের আকিকার জন্য যথেষ্ট?

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫২ পিএম

শেয়ার করুন:

কোরবানির গরুতে একভাগ কি ছেলের আকিকার জন্য যথেষ্ট?

কোরবানি ও আকিকা আলাদা আমল হওয়ায় একত্রে না করা উত্তম। তবে, একত্রে করলেও আদায় হয়ে যাবে। ফতোয়ার কিতাবাদিতে বলা হয়েছে যে, কোরবানির সাথে আকিকা শুদ্ধ। (রদ্দুল মুখতার: ৬/৩২৬; হাশিয়াতুত তহতাভি আলাদ্দুর: ৪/১১৬)

আকিকার উত্তম পদ্ধতি হলো- পুত্র সন্তানের জন্য দুটি আর কন্যাসন্তান হলে একটি ছাগল দ্বারা আকিকা করা। রাসুলুল্লাহ (স.)-কে আকিকা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, পুত্রসন্তানের পক্ষ থেকে দুটি ছাগল আর কন্যাসন্তানের পক্ষ থেকে একটি ছাগল জবাই করবে। (জামে তিরমিজি: ১/১৮৩)


বিজ্ঞাপন


উল্লেখিত হাদিসে ছাগলের উল্লেখ থাকলেও উট, গরু, মহিষ, ভেড়া ও দুম্বা দিয়েও আকিকা করা জায়েজ। (আলমুজামুল আউসাত: ৩৭১; আবু দাউদ: ২/৩৯২)

আরও পড়ুন: আকিকা নিয়ে কিছু ভুল ধারণা

আর কোরবানির বড় পশুতে (গরু, মহিষ, উট) আকিকার জন্য শরিক হওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ছেলে সন্তানের জন্য দুই ভাগ এবং মেয়ে সন্তানের জন্য একভাগ দিতে হবে। (ইলাউস সুনান: ১৭/১২৬)

তবে অসচ্ছল হলে কোরবানির বড় পশুতে একভাগ নিলেও ছেলে সন্তানের আকিকা শুদ্ধ হবে। একইভাবে একটি ছাগল জবাই করলে ছেলে সন্তানের আকিকা আদায় হবে। দলিল হলো- ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নিশ্চয় রাসুল (স.) হজরত হাসান (রা.) এবং হজরত হুসাইন (রা.)-এর জন্য একটি একটি বকরি আকিকা দিয়েছেন। (আবু দাউদ: ২৮৪১)


বিজ্ঞাপন


সন্তান জন্মের সপ্তম দিনে আল্লাহ তাআলার শুকরিয়া আদায়ের উদ্দেশে পশু জবাই করাকে আকিকা বলে। কেউ কারণবশত সপ্তম দিনে করতে না পারলে পরবর্তীতে যেকোনো দিন আদায় করতে পারবে। (ইবনুল কাইয়িম, তুহফাতুল মাওদুদ: ৬৩ পৃ; ফতোয়া লাজনা দায়েমা: ১৭৭৬; মাজমু ফতোয়া উসাইমিন: ২৫/২১৫)

আরও পড়ুন: সন্তানের প্রতি মা-বাবার ১১ দায়িত্ব

‘শৈশবে আকিকা করা না হলে বড় হওয়ার পরও আকিকা করা যাবে। যার আকিকা সে এবং তার মা-বাবাও আকিকার গোশত খেতে পারবে।’ (ইলাউস সুনান: ১৭/১২৬)

আকিকা করা মোস্তাহাব। আকিকার প্রতি উৎসাহিত করেছে ইসলাম। হাদিসে আছে, সন্তানের সঙ্গে আকিকার বিধান রয়েছে। তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত কর (অর্থাৎ পশু জবাই করো) এবং সন্তানের শরীর থেকে কষ্টদায়ক বস্তু (চুল) দূর করে দাও। (বুখারি: ৫৪৭২)

আকিকার গোশতের বণ্টন ও ব্যবহার কোরবানির গোশতের মতোই। অর্থাৎ কিছু গোশত নিজেদের জন্য রাখা, কিছু আত্মীয়-স্বজনকে দেওয়া এবং কিছু গোশত গরিবদের সদকা করা উত্তম। (মুসতাদরাক হাকেম: ৭৬৬৯ ইলাউস সুনান: ১৭/১১৮ ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ৫/৩০৪)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরবানি ও আকিকা সুন্নাহ মেনে যথাযথভাবে আদায় করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর