২০২৪ সালের (১৪৪৫ হিজরি) পবিত্র রমজান চাঁদ দেখা সাপেক্ষে শুরু হবে আগামী ১২ বা ১৩ মার্চ। তবে ১২ মার্চ রমজান শুরু ধরে ইসলামিক ফাউন্ডেশন সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি নির্ধারণ করেছে। সময়সূচি অনুযায়ী, ১২ মার্চ প্রথম রমজানে ঢাকায় সেহেরির শেষ সময় ভোররাত ৪টা ৫১ মিনিট এবং ইফতারের সময় ৬টা ১০ মিনিটে। আর ১০ এপ্রিল বা ৩০ রমজানে সেহেরির শেষ সময় ভোররাত ৪টা ২০ মিনিট এবং ইফতারের সময় ৬টা ২২ মিনিটে।
দূরত্ব অনুযায়ী ঢাকার সময়ের সঙ্গে অন্যান্যা বিভাগ ও জেলার কোথাও সর্বোচ্চ ৯ মিনিট বেশি, কোথাও ৯ মিনিট কমে সেহেরি ও ইফতার করবেন মুসলমানরা। Sehri Iftar Time 2024
বিজ্ঞাপন
সেহেরির শেষ সময় সতর্কতামূলকভাবে সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট পূর্বে ধরা হয়েছে এবং ফজরের ওয়াক্তের শুরু সুবহে সাদিকের ৩ মিনিট পরে রাখা হয়েছে। অতএব, সেহরির সতর্কতামূলক শেষ সময়ের ৬ মিনিট পর ফজরের আজান হবে। সূর্যাস্তের পর সতর্কতামূলকভাবে ৩ মিনিট বাড়িয়ে ইফতারের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। Sehri Iftar Time 2024 ২০২৪ সালের সেহেরি ও ইফতারের সময়সূচি

আরও পড়ুন: রমজানে যেসব কাজের সওয়াব বেশি
রোজার নিয়ত
ফরজ রোজা শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হলো নিয়ত করা। আর নিয়ত শব্দের অর্থ হলো, মনের ইচ্ছা, সংকল্প বা প্রতিজ্ঞা। এটি অন্তরের কাজ, জিহ্বার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য কোনো কাজের শুরুতে মনের মধ্যে যে ইচ্ছা পোষণ করা হয়, সেটাকেই নিয়ত বলা হয়। তাই কেউ মুখে নিয়ত না করলেও তার রোজা আদায় হয়ে যাবে। (আল-বাহরুর রায়েক: ২/৪৫২; আল-জাওহারুতুন নাইয়্যিরাহ: ১/১৭৬; রদ্দুল মুখতার: ৩/৩৩৯, ৩৪১; ফতোয়া হিন্দিয়া: ১/১৯৫)
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: রমজানে যেসব গুনাহ ভুলেও করবেন না
বাংলাদেশে রোজার একটি আরবি নিয়ত প্রসিদ্ধ— যেটা মানুষ মুখে পড়ে থাকে। সেটি হলো— نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم উচ্চারণ: ‘নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত) করলাম। অতএব আপনি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।’
ইফতারের দোয়া
ইফতারের আগের মুহূর্তটি অতি মূল্যবান। এটি দোয়া কবুলের সময়। নবী করিম (স.) ইরশাদ করেছেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোজাদার যখন সে ইফতার করে ও নির্যাতিত ব্যক্তির দোয়া’ (ইবনে মাজাহ: ১৭৫২)। হাদিসে বর্ণিত ইফতারের দোয়াটি হলো— اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা আফতারতু।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিকের মাধ্যমে ইফতার করছি। (আবু দাউদ: ২৩৫৮)

