বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ঢাকা

শীতকালে ফজরের নামাজের বিশেষ ফজিলত

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৪:১৫ পিএম

শেয়ার করুন:

শীতকালে ফজরের নামাজের বিশেষ ফজিলত

শীতের ভোরে কনকনে ঠাণ্ডাকে উপেক্ষা করে শীতল পানিতে অজু করা, শীতার্দ্র প্রবাহে মসজিদে যাওয়া এবং নামাজশেষে বাসায় ফেরা খুব কষ্টের। কিন্তু মুমিনের জন্য এটি ফজিলতের একটি প্যাকেজমাত্র। এই প্যাকেজ লুফে নেওয়ার জন্য আল্লাহর বান্দারা মুখিয়ে থাকেন। 

রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদের এমন বিষয়ের সংবাদ দেব না, যার মাধ্যমে আল্লাহ তোমাদের গুনাহগুলো মুছে দেবেন এবং (আল্লাহর নিকট) তোমাদের মর্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধি করবেন? সাহাবায়ে কেরাম বললেন, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসুল! নবী (স.) তখন বলেন, (শীত বা অন্যকোনো) কষ্টকর মুহূর্তে ভালোভাবে অজু করা।’ (সহিহ মুসলিম: ২৫১)


বিজ্ঞাপন


আরও পড়ুন: শীতকালে যেসব আমল সহজে করা যায়

শীতের কষ্টকে পাত্তা না দিয়ে যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য নামাজে দাঁড়াবে আল্লাহ তাআলা তাদের অনেক বড় পুরস্কার দিয়ে ধন্য করবেন। এ সম্পর্কে হাদিসে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুই ঠাণ্ডার সময়ের নামাজ (ফজর ও এশা) আদায় করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (সহিহ বুখারি: ৫৭৪)

উল্লেখিত দুটি হাদিস লক্ষ্য করুন-দুইটি বড় ফজিলত রয়েছে শীতের অজু ও নামাজে। একটি হলো গুনাহ মাফ অন্যটি সরাসরি জান্নাত। একজন মুমিনের জন্য এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে!

আরও পড়ুন: গুনাহ মাফের ২৩ আমল


বিজ্ঞাপন


কিন্তু শয়তান বসে নেই। শীতকালের ফজর নামাজ সে আপনাকে পড়তে না দেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মূলত যে ইবাদতের ফজিলত বেশি, শয়তান আপনাকে সেই ইবাদতই করতে না দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। শীতের কষ্টকর মুহূর্তগুলো সে আপনার সামনে মেলে ধরবে।

কিন্তু প্রকৃত মুমিন শয়তানের ধোঁকায় পড়ে না। এক ঝটকায় গা ঝাড়া দিয়ে উঠে পড়ে এবং আল্লাহর ইবাদতে শামিল হয়ে পড়ে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে তাওফিক দিন শীতের ঠাণ্ডাকে জয় করে তাঁরই দিকে ধাবিত হতে। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর