মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

গুনাহগার বান্দার ডাক আল্লাহর খুব প্রিয়

ধর্ম ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৮ আগস্ট ২০২৩, ০৬:০২ এএম

শেয়ার করুন:

গুনাহগার বান্দার ডাক আল্লাহর খুব প্রিয়

আল্লাহ তাআলার বিশেষ বান্দারা ছাড়া কেউ গুনাহের ঊর্ধ্বে নয়। শয়তানের ধোঁকায় যে কোনো গুনাহ করে ফেলতে পারেন বান্দা। শরিয়াহবিরোধী কাজে লিপ্ত হয়ে অনেকের আক্ষেপ ও আফসোসের শেষ থাকে না। এই বৈশিষ্ট্য মূলত মুমিনদের। এটি তার ঈমানেরই প্রমাণ।

হজরত আবু উমামা (রা.) বলেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ (স.)-কে জিজ্ঞেস করল, ‘ঈমান কী হে আল্লাহর রাসুল! (অর্থাৎ আমি কীভাবে বুঝব যে, আমার মাঝে ঈমান আছে?) তখন রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, যখন তোমার নেক আমল তোমাকে আনন্দিত করবে এবং তোমার গুনাহ তোমাকে কষ্টে নিপতিত করবে (গোনাহের কারণে তুমি কষ্ট পেতে থাকবে), তাহলে (বুঝবে) তুমি মুমিন। (মুসনাদে আহমদ: ২২১৬৬; মুসতাদরাকে হাকেম: ৩৩)


বিজ্ঞাপন


কেন গুনাহে জড়ালাম, কীভাবে পরিত্রাণ পাবো—এই কষ্ট থেকে এক পর্যায়ে পবিত্র হয়ে আল্লাহর কাছে সেজদায় লুটিয়ে পড়েন মুমিন। ক্ষমা পাওয়ার ব্যাকুলতায় ইস্তেগফারে অশ্রুসিক্ত হন। তখন তার যেকোনো গুনাহ ক্ষমা করার জন্য গাফুরুর রাহিমের ক্ষমার সাগরে ঢেউ খেলে যায়। তখনই বান্দার সকল গুনাহ ধুয়ে মুছে সাফ করে দেওয়া হয়।

আবু বকর সিদ্দিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, মুসলিম যখন কোনো গুনাহ করে ফেলে, অতঃপর অজু করে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে এবং উক্ত পাপের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, তখন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। এরপর নবীজি (স.) এ দুটি আয়াত তেলাওয়াত করেন
১. ‘যে ব্যক্তি কোনো মন্দ কাজ করে ফেলে বা নিজের প্রতি জুলুম করে বসে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, সে অবশ্যই আল্লাহকে অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালুই পাবে।’ (সুরা নিসা: ১১০)
২. ‘এবং তারা সেই সকল লোক, যারা কখনও কোনো অশ্লীল কাজ করে ফেললে বা (অন্য কোনোভাবে) নিজেদের প্রতি জুলুম করলে, সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং তার ফলশ্রুতিতে নিজেদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে..’ (সুরা আলে ইমরান: ১৩৫)

(সূত্র: মুসনাদে আহমদ: ৪৭; সহিহ ইবনে হিব্বান: ৬২৩; মুসনাদে আবু ইয়ালা: ১৩)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে তাকওয়া দান করুন। গুনাহ থেকে ক্ষমা পেতে একনিষ্ঠভাবে অশ্রুসিক্ত হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর