বান্দার যেকোনো সমস্যায় আল্লাহ তাআলা একমাত্র সহায়। তিনি বান্দাকে সাহায্য করেন, দোয়া কবুল করেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব।’ (সুরা গাফির: ৬০)
তাই বান্দার দায়িত্ব হলো— যেকোনো প্রয়োজনে দয়াবান আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া। প্রিয়নবী (স.) বিভিন্ন সময় ও প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন দোয়া করেছেন এবং উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
তার একটি হলো- শত্রুর ক্ষতি থেকে বাঁচার দোয়া- اللَّهُمَّ إِنَّا نَجْعَلُكَ فِي نُحُورِهِمْ وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شُرُورِهِمْ উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম ওয়া নাউজুবিকা মিন শুরুরিহিম।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমরা তাদের মোকাবেলায় আপনাকে যথেষ্ট ভাবছি এবং তাদের অনিষ্ট থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।’
আবু বুরদা ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) যখন কোনো সম্প্রদায় দ্বারা ক্ষতির আশঙ্কা করতেন, তখন এই দোয়া পড়তেন। (আবু দাউদ: ১৫৩৭)
তাবরানির হাদিসে এ বিষয়ে আরেকটি দোয়ার উল্লেখ আছে। যে দোয়াটি পড়লে আল্লাহ তাআলা শত্রুর মনে ভয় সৃষ্টি করে দেবেন। দোয়াটি হলো- اللَّهُمَّ مُنْزِلَ الْكِتَابِ ، سَرِيعَ الْحِسَابِ ، مُجْرِيَ السَّحَابِ ، هَازِمَ الأَحْزَابِ ، اهْزِمْهُمْ وَزَلْزِلْهُمْ ‘আল্লাহুম্মা মুনযিলাল কিতাব, সারিয়াল হিসাব; মুজরিয়াস সাহাব, হাযিমাল আহযাব। আহযিমহুম ওয়া যালযিলহুম।’ অর্থ: হে আল্লাহ! কোরআন অবতীর্ণকারী; দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী, মেঘকে পরিচালনাকারী। শত্রুবাহিনীকে পরাজিত ও প্রতিহত করুন। তাদের দমন ও পরাজিত করুন। তাদের মধ্যে কম্পন সৃষ্টি করে দিন। (তাবরানি: ৯৮৯)
নবীজি (স.) দোয়াগুলো করেছেন, তাই উম্মতের জন্যও তা পাঠ করা সুন্নত। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জীবনের সকল ক্ষেত্রে প্রিয়নবী (স.)-এর সুন্নতের ওপর অটল-অবিচল থাকার তাওফিক দান করুন, শত্রুর ক্ষতি থেকে হেফাজত করুন। আমিন। শত্রুর মোকাবেলায় দোয়া, শত্রুর ক্ষতি থেকে বাঁচার দোয়া, শত্রুকে পরাজিত করা দোয়া
