মা-বাবার দোয়া কখনো বিফলে যায় না। সন্তানকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা দেওয়া যেমন জরুরি, একইভাবে তাদের জন্য দোয়া করার গুরুত্বও অপরিসীম। মনে রাখতে হবে- সন্তান সুন্দর পরিবেশ থেকে ভালো শিক্ষা লাভ করে। তাই সন্তানের জন্য সবার আগে পারিবারিক সুন্দর পরিবেশ ও ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে যাতে সে মননে-মগজে শিক্ষা ধারণ করতে পারে। শুধুমাত্র দোয়া করলেই সন্তান নেককার হয়ে যাবে—এমন কথা কোরআন-হাদিসে নেই, বরং শিক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি দোয়া করার কথা আছে।
এখানে কোরআন ও হাদিসে বর্ণিত কয়েকটি দোয়া উল্লেখ করা হলো যেগুলোর কারণে বর্তমান যুগের বিভিন্ন ফেতনা থেকে এবং শয়তানের পাতানো হাজারো ফাঁদ থেকে আল্লাহ তাআলা আপনার সন্তানকে রক্ষা করবেন ইনশাআল্লাহ। একইসঙ্গে সন্তানের সবরকম কল্যাণের জন্য দোয়াগুলো খুবই কার্যকর।
বিজ্ঞাপন
১. رَبِّ اجْعَلْنِي مُقِيمَ الصَّلاَةِ وَمِن ذُرِّيَّتِي رَبَّنَا وَتَقَبَّلْ دُعَاء উচ্চারণ: ‘রাব্বিজ আলনী মুকীমাস সালা-তি ওয়ামিন জুররিয়্যাতি, রাব্বানা ওয়া তাকাব্বাল দুয়া।’ অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে নামাজ আদায়কারী করুন এবং আমার বংশধরদের মধ্য থেকেও। হে আমার প্রতিপালক! আমার প্রার্থনা কবুল করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪০) সন্তানের চারিত্রিক মাধুর্যতার জন্য দোয়া
২. এই দোয়া পড়ে ফুঁ দেওয়া—أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ، وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لاَمَّةٍ উচ্চারণ: ‘আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন কুল্লি শায়তানিঁও ওয়া হাম্মাহ; ওয়া মিন কুল্লি আইনিন লাম্মা’ অর্থ: আমি আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ কালেমাগুলোর মাধ্যমে প্রত্যেক শয়তান ও বিষাক্ত প্রাণী থেকে এবং সর্বপ্রকার কুদৃষ্টি থেকে মুক্তি কামনা করছি।’ (সুনানে আবি দাউদ: ৪৭৩৭; ইবনে মাজাহ: ৩৫২৫)
সন্তানের সবরকম কল্যাণের জন্য এই দোয়া করা উচিত। দোয়াটির বরকতে শয়তান ও ক্ষতিকর প্রাণীর অনিষ্ট থেকে সন্তান মুক্ত থাকবে এবং আল্লাহর ইবাদতের প্রতি ঝুঁকবে ইনশাআল্লাহ। সন্তান ফেতনা থেকে হেফাজতে থাকার দোয়া
৩. رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء ‘রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা যুরিরয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাহ, ইন্নাকা সামিউদ দুআ’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার পক্ষ থেকে আমাকে পূতপবিত্র সন্তান দান করো। নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা কবুলকারী।’ (সুরা আলে ইমরান: ৩৮) এই দোয়াটি (সন্তান আসার আগে ও পরে) সবসময় করা যাবে।
৪. رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ ‘রাব্বি হাবলি মিনাস সালেহিন’ অর্থ: ‘হে আমার প্রভু! আমাকে এক সৎপুত্র দান করুন।’ (সুরা সাফফাত: ১০০) এই দোয়াও (সন্তান আসার আগে ও পরে) সবসময় করা যাবে।
বিজ্ঞাপন
৫. رَبَّنَا هَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّ اجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا উচ্চারণ: ‘রাব্বানা- হাবলানা- মিন আযওয়াঝিনা- ওয়া জুররিইয়্যা-তিনা- কুররাতা আ’ইউনিওঁ ওয়াঝআ’লনা- লিলমুত্তাক্বিনা ইমা-মা।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রভু! আমাদের স্ত্রীদের পক্ষ থেকে এবং আমাদের সন্তানদের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য চোখের শীতলতা দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকিদের জন্য আদর্শ স্বরূপ করুন। (সুরা ফুরকান: ৭৪) এই দোয়াটিও (সন্তান আসার আগে ও পরে) সবসময় করা যাবে।
উল্লেখিত দোয়াগুলো সন্তানের জন্য দোয়া কবুলের সময়গুলোতে করা মা-বাবার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চতুর্দিকে যখন ফেতনার ছড়াছড়িতে ছেলে-মেয়েরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তখন এই দোয়াগুলোর কারণে আল্লাহ তাআলা আপনার সন্তানকে এবং আপনার পরবর্তী জেনারেশনকে ফেতনার ভয়াবহতা থেকে, শয়তানের পাতানো হাজারো ফাঁদ থেকে আল্লাহ মুক্ত রাখবেন ইনশাআল্লাহ। সন্তানের জন্য সবসময় দোয়াগুলো করার তাওফিক আল্লাহ আমাদের দান করুন। আমিন। সন্তানের জন্য দোয়া, সন্তানের সুস্থতার জন্য দোয়া, সন্তানের কল্যাণের জন্য দোয়া, সন্তানের জন্য দোয়া চেয়ে স্ট্যাটাস, সন্তানের নিরাপত্তার জন্য দোয়া, সন্তানের জন্য মায়ের দোয়া, সন্তানের জন্য বাবা মায়ের দোয়া, সন্তানের পরীক্ষার জন্য দোয়া, সন্তান নেককার হওয়ার দোয়া, সন্তান সুপথে

