অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের রাজধানী ব্রিসবেনে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকী ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ব্রিসবেনের ঐতিহ্যবাহী কুইন স্টিট মলের স্টেজে বাংলাদেশি শিশু, কিশোর এবং সাংস্কৃতিক কর্মীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা এরই সাথে, ব্রিসবেন এর অত্যন্ত গুর্রুত্বপূর্ণ দুটি স্থাপনা, ব্রিসবেন সিটি হল এবং স্টোরী ব্রিজে আলোকসজ্জা করা হয়েছিল বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার রং লাল-সবুজে। এ আয়োজনে প্রধান উদ্যোক্তা ছিল ব্রিসবেনে বসবাসরত বাংলাদেশিদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ইন ব্রিসবেন (বিএবি)।
আয়োজকরা জানান, ২৬ মার্চ বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীও পালন করা হয়। পশ্চিমা মতাদর্শের অনুসরণকারী দেশগুলোর মধ্যে অস্ট্রেলিয়াই প্রথম বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ১৯৭২ সালে। এই স্মরণীয় মুহূর্তকে সামনে রেখে এবং বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার চলমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে ব্রিসবেনে স্বাধীনতা দিবস ২০২২-এর উদযাপনের সকল আয়োজন করা হয় ব্রিসবেন সিটি কাউন্সিলের পৃষ্ঠপোষকতায়।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশিদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ইমিগ্রেশন মিনিস্টার আলেক্স হ্বক (এমপি), কুইন্সল্যান্ডের মাল্টিকালচারাল মিনিস্টার লিয়েন লিনার্ড (এমপি), কমিউনিটি ও ডিজিটাল ইকোনোমি মিনিস্টার লিয়েন ইনক (এমপি), কুইন্সল্যান্ড গভর্নমেন্ট অপজিশন লিডার ডেভিড ক্রিসাফুল্লি (এমপি), ব্রিসবেন সিটি লর্ড মেয়র এদ্রিয়ান শ্রীনার, কনস্যুলার জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম (কনস্যুলেট জেনারেল অফিস, সিডনি)।
ব্রিসবেন সিটি হল, স্টোরি ব্রিজ এবং কুইন্সল্যান্ডের পার্লামেন্ট হাউসকে লাল সবুজের আলোকসজ্জায় সজ্জিত করার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন ড. জিশু দাস গুপ্ত।
কম্পিউটার প্রকৌশলী ড. জিশু কুইন্সল্যান্ড সরকারের জাস্টিস অ্যান্ড অ্যাটর্নি জেনারেল ডিপার্টমেন্টে কর্মরত আছেন। তার উদ্যোগে কুইন্সল্যান্ডের ৩০টি ওয়েবসাইটে বাংলা ভাষা যুক্ত করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কুইন্সল্যান্ড পার্লামেন্টে তার নাম উল্লেখ করা হয়। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সাল থেকে আমার ও কমিউনিটির সব সদস্যের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ চেষ্টার ফলেই আমাদের এ অর্জন। আমরা চাই এ অর্জন ছড়িয়ে পড়ুক পৃথিবীর আনাচে-কানাচে। জ্বলে উঠুক বাংলাদেশের নাম’।
এ আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করতে বিশেষ ভূমিকা রাখেন বিএবির সভাপতি মো মাসুম ইফতেখারুল ইসলাম, সহ-সভাপতি শেখ বাসার উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক সাদাত আহমেদ।
বিজ্ঞাপন
ব্রিসবেনে কর্মরত প্রকৌশলী মুশফিকুর রহমান শোভন বলেন, ‘সবার দিকে তাকিয়ে কেবলই মনে হয়েছে, ব্রিজভর্তি বাঙালি, বুকভর্তি দেশপ্রেম ও ভালোবাসা। বিদেশের বুকে ও লাল সবুজের প্রতি এই ভালোবাসা দেখে মনটা আসলেই ভরে যায়’।
আগামী ২৯ মার্চ সন্ধ্যায় কুইন্সল্যান্ড পার্লামেন্টের স্পিকার কার্টিস পিটের আমন্ত্রণে মন্ত্রীপরিষদ ও পার্লামেন্ট সদস্যদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএবির কার্য নির্বাহী পরিষদের সদস্যবৃন্দ এবং ব্রিসবেনের বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃস্থানীয় সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। একই দিনে বাংলাদেশের সম্মানে কুইন্সল্যান্ডের পার্লামেন্ট হাউজকে লাল সবুজের আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে।
এইচই/এএ
