পর্তুগালের রাজধানী লিসবনের একটি পাঁচতারকা হোটেলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা অংশগ্রহণ করেন। তবে পর্তুগিজ সরকারের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।
পর্তুগাল সরকারের সমতা ও অভিবাসন বিষয়ক সেক্রেটারি ইসাবেল আলমেদা রদ্রিগেজ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও দুটি দেশ এখনো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নতুন বলা চলে। যে সময় পার হয়েছে এর মধ্যে আমরা অনেক অগ্রগতি করেছি। তবে শিগগিরই আমাদের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে, যে লক্ষ্যে আমরা দ্বিপাক্ষিক অনেক বিষয়ে কাজ করছি।
বিজ্ঞাপন
রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান পর্তুগালের স্টেট সেক্রেটারি এবং শীর্ষস্থানীয় নেতাদের উপস্থিতির কথা উল্লেখ করে বলেন, বিষয়টি আপনারা লক্ষ্য করেছেন। তাদের বক্তব্য এবং উপস্থিতি আমাদের নতুন সম্পর্কের একটি অগ্রগতি বলা চলে এবং আমরা আশাবাদী বিভিন্ন বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি সফল অবস্থানে পৌঁছতে পারব। তিনি বিগত দিনের দ্বিপাক্ষিক অগ্রগতির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে চীন, জাপান, ভারতসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা অংশ নেন। আমন্ত্রিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক আয়োজন উপস্থাপন করা হয়। তাছাড়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরাও উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশিদের প্রাণের দাবি পর্তুগালে বাংলাদেশের দূতাবাস স্থাপন বা ভিসা কনসুলেট চালু করা নিয়েও দু’পক্ষের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা হয়। বিষয়টি কবে কার্যকর হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া না গেলেও দুপক্ষ ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য পর্তুগালের সাথে গত এক বছরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অনেক উন্নতি হয়েছে। পর্তুগাল এবং বাংলাদেশের পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ একই সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং পর্তুগিজ ইসকলা লুইস কামোইস (আন্তর্জাতিক কালচার সম্পর্ক বিষয়ক প্রতিষ্ঠান) এর সাথে ভাষা এবং সংস্কৃতির আদান-প্রদান বিষয়ক একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গত বছরের শেষের দিকে দু’পক্ষের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী পর্যায়ে সফর এবং কিছুদিন আগে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সমঝোতা স্মারক চুক্তি হয়।
বিজ্ঞাপন
/এমএইচটি
