বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

অন্টারিও আ.লীগ নেতাদের সাথে অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লার সাক্ষাৎ

আহসান রাজীব বুলবুল
প্রকাশিত: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:৩৩ পিএম

শেয়ার করুন:

অন্টারিও আ.লীগ নেতাদের সাথে অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লার সাক্ষাৎ

কানাডার অন্টারিও আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন আওয়ামী লীগের জামালপুর জেলার সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ।

টরেন্টোর স্থানীয় রেড হর্ট তন্দুরি রেস্টুরেন্টে এ সময় আলোচনা সভারও আয়োজন করা হয়। আলোচনায় বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা এবং খুনী নুর চৌধুরীকে দেশে ফিরত পাঠানোর বিষয় উঠে আসে।


বিজ্ঞাপন


অন্টারিও আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বাকসুর সাবেক ভিপি ফয়জুল করিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন অ্যাডভোকেট বাকী বিল্লা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অন্টারিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  লিটন মাসুদ।

বাকী বিল্লা বলেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ ঘটেছে। জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন নীতি সংক্রান্ত কমিটি (সিডিপি) গত ১৫ মার্চ এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়। এলডিসি ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের জন্য মাথাপিছু আয়, মানব সম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক- এ তিনটি সূচকের যেকোনো দুটি অর্জনের শর্ত থাকলেও বাংলাদেশ তিনটি মানদণ্ডেই উন্নীত হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কাউন্সিলের (ইকোসক) মানদণ্ড অনুযায়ী একটি দেশের মাথাপিছু আয় হতে হবে কমপক্ষে ১২৩০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় তার চেয়ে অনেক বেশি, ১৬১০ মার্কিন ডলার। মানবসম্পদ সূচকে ৬৬ প্রয়োজন হলেও বাংলাদেশ অর্জন করেছে ৭২ দমমিক ৯। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক হতে হবে ৩২ ভাগ বা এর কম, যেখানে বাংলাদেশের রয়েছে ২৪ দশমিক ৮ ভাগ।

বাকী বিল্লা বলেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে আজকের এই উত্তরণ এক বন্ধুর পথ পাড়ি দেওয়ার ইতিহাস। এটি সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সাহসী ও অগ্রগতিশীল উন্নয়ন কৌশল গ্রহণের ফলে যা সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কাঠামোগত রূপান্তর ও উল্লেখযোগ্য সামাজিক অগ্রগতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে দ্রুত উন্নয়নের পথে নিয়ে এসেছে।


বিজ্ঞাপন


তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

আলোচনা সভায় খুনী নুর চৌধুরী সম্পর্কে বলা হয়, ১৯৯৬ সালে কানাডা আসার পর শরণার্থী হিসেবে আশ্রয়ের আবেদন করেন খুনী নূর চৌধুরী ও তার স্ত্রী। এর দুই বছরের মাথায় নিম্ন আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ে নূর চৌধুরীর মৃত্যুদণ্ডের আদেশ হয়। গুরুতর অপরাধে সংশ্লিষ্টতার তথ্য থাকায় ২০০২ সালে কানাডা নূর চৌধুরী দম্পতির আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে।

আপিল করেও ২০০৬ সালে তারা হেরে যান। কিন্তু তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়নি। এরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনী নূর চৌধুরীর বিষয়ে কানাডায় আইনি লড়াইয়ের একটি ধাপে জয় পায় বাংলাদেশ। কানাডার অটোয়া এই লড়াইয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে হেরে গেছে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কানাডা সরকারের কাছে আত্মস্বীকৃত খুনী নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর জোর দাবি জানানো হয়।

সভায় আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি টরন্টোর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে খুনী নুর চৌধুরীকে দেশে ফেরতের দাবিতে মানববন্ধনে অংশগ্রহণের আহবান জানানো হয়।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আমিন মিয়া, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি ডা. হুমায়ুন কবির, অন্টারিও আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নওশের আলী, রফিকুল আলম, দপ্তর সম্পাদক খালেদ শামীম, প্রচার সম্পাদক আকরামুল ইসলাম খান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হাসমত আরা জুই, নির্বাহী সদস‍্য জিয়াউল আহসান চৌধুরী, মোস্তাক চৌধুরী, উপ-দপ্তর সম্পাদক শাকিল আহমেদ, যুব সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন।

আরও অংশ নেন কানাডা আওয়ামী লীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শেখ জসিম উদ্দিন, নির্বাহী সদস‍্য আব্দুল মান্নান, ঝোটন তরফদার, কানাডা ছাত্রলীগের সভাপতি ওবায়দুর রহমান, তৌহিদুর রহমান দুর্জয়, মোহাম্মদ সাকিব, সোহাগ হোসাইন, তৌহিদুর রহমান আশিক, শাকিল আহমেদ ও মো. তামিমসহ অনেকেই।

/জেএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর