শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

লাশ নিয়ে প্রতারণা, ওয়েজ আর্নার্স বোর্ডে ভোগান্তি প্রবাসীদের

আশরাফুল মামুন
প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২২, ১২:২৯ পিএম

শেয়ার করুন:

লাশ নিয়ে প্রতারণা, ওয়েজ আর্নার্স বোর্ডে ভোগান্তি প্রবাসীদের
ফাইল ছবি

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন কায়দায় প্রতারণার খবর শোনা যায় হর হামেশা। কিন্তু লাশ নিয়ে প্রতারণার খবর খুব একটা পাওয়া না গেলেও ঘটনাটি ঘটেছে মালয়েশিয়ার প্রবাসী আঃ কাইয়ুমের সঙ্গে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই বাসিন্দার লাশ দেশে আনার বিষয়ে সহযোগিতার নামে তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

এদিকে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডসহ প্রবাসীদের সহযোগিতার জন্য যেসব দফতর আছে তা এখন ভোগান্তির আরেক নাম। সরকারি খরচে প্রবাসীর লাশ দেশে আনার বিধান থাকলেও কর্মকর্তাদের অদক্ষতা এবং অসহযোগিতায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। ফলে সরকারি এসব সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অনেকে।


বিজ্ঞাপন


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সপ্তাহখানেক আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর আঃ কাইয়ুম হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কুয়ালালামপুরের একটি হাসপাতালে। লাশ দেশের আনার টাকা তো দূর নেই কফিন কেনার সামর্থও। দীর্ঘ দিন প্রবাসে কাটানো প্রিয় মানুষটির লাশ পেতে কাইয়ুমের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম যোগাযোগ করেছেন একটি প্রবাসী সংগঠনের সঙ্গে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সঙ্গেও। 

তিনি বলেন, দূতাবাসে যাওয়ার পর বলে দেওয়া হয়েছে জেলা ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডে আবেদন করতে। পরে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানতে পারেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ওয়েজ আনার্সের কোনো শাখা নেই। এ অবস্থায় আঃ কালাম আজাদ নামে এক ব্যক্তি এগিয়ে এসেছেন। নিজের পরিচয় দিলেন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের উপ সচিব হিসেবে। বললেন, কাইয়ুমের লাশ দেশে নিতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে। কিন্তু তার আগে ফর্ম পূরণের খরচ হিসেবে দিতে হবে ৩ হাজার ৬ শ’ টাকা। 

এদিকে ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে মনোয়ারা যোগাযোগ করেন ঢাকা মেইলের সঙ্গে। পরে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মহাপরিচালক হামিদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এমন কেউ নেই। মনোয়ারার সঙ্গে যোগাযোগ করা নম্বরে বারবার ফোন করা হলেও রিসিভ হয়নি তা। পরে দেওয়া হয় ক্ষুদে বার্তাও।

তবে এব্যাপারে বিএমইটির ডাইরেক্টর জেনারেল মো. শহিদুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানানো হলে সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। একই সঙ্গে প্রবাসীদের ভোগান্তি কমাতে সরকারের উচ্চপর্যায়ে বিষয়টি উত্থাপন করা হবে বলেও জানান তিনি। 


বিজ্ঞাপন


কুয়ালালামপুর দূতাবাসের সাবেক ফাস্ট সেক্রেটারি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকার প্রবাসীদের প্রতি খুবই আন্তরিক। তাদের সুযোগ সুবিধার জন্য নানা রকম বরাদ্দ থাকে, যা সংশ্লিষ্টরা প্রচার করেন না। কারণ প্রচার হলেই প্রবাসীরা দূতাবাসে ভিড় করবেন। কিন্তু তারা এত চাপ নিতে রাজি নন বলেই অজুহাত দেখান।

এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর