শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

প্রবাসীদের দৃষ্টি ডাকসুতে 

খলিলুর রহমান, অস্ট্রেলিয়া থেকে
প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৫ পিএম

শেয়ার করুন:

রাত ১১টায় শেষ হচ্ছে ডাকসু নির্বাচনী প্রচারণা। ছবি: সংগৃহীত
ডাকসু নির্বাচন: ফের মুজিব হলের পকেট গেইট বন্ধ ঘোষণা

আর মাত্র দুই দিন পরেই প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচন। ইতোমধ্যে চলছে শেষ মুর্হুতের প্রচার-প্রচারণা। তবে এবারের ডাকসু নির্বাচনের উত্তাপ ছড়াচ্ছে দেশ ছেড়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। কারণ ২০২৪ সালের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর দেশের ছাত্ররাজনীতিতে প্রথম বৃহৎ নির্বাচনী আয়োজন। এছাড়াও ওই নির্বাচনের প্রভাব দেশের জাতীয় নির্বাচনে পড়বে মনে করছেন অনেকেই। এ কারণেই দেশে ও দেশের বাহিরে আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে ডাকসু!

তাই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা বাংলাদেশিরা জানতে চাচ্ছেন; কী হচ্ছে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর? শুধু তাই নয়, ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কী হবে, কী হচ্ছে- এমন প্রশ্ন সকল প্রবাসীদের মুখে মুখে রয়েছে। অপরদিকে যত সময় ঘনিয়ে আসছে, তত ঢাবিসহ দেশবাসীর মধ্যেও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে।


বিজ্ঞাপন


অস্ট্রেলিয়ার সিডনীতে বাসবাসকারী প্রবাসী সাংবাদিক শাহাব উদ্দিন শিহাব ঢাকা মেইলকে বলেন, রাজনৈতিক স্বড়যন্ত্রসহ সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ডাকসু নির্বাচন হতে হবে।  এই নির্বাচনের উপর নির্বর করছে আগামীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই  বহুল প্রতিক্ষিত ডাকসু নির্বাচন অবশ্যই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে হবে। আমরা প্রবাসীরা এই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা বতর্মান অন্রর্বতী সরকারের একটি বড় চ‍্যালেঞ্জ বলে মনে করছি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী এ এম তৌহিদ হাসান ঢাকা মেইলকে বলেন, প্রবাসে থেকেও এখন ডাকসু নির্বাচনের দিকে নজর রাখছি। প্রতি দিন অনলাইনে খোঁজ-খবর রাখার চেষ্টা করি। তবে নির্বাচন বানচালের অনেক চেষ্টা চলছে। তবে যারা জুলাই অভ্যুত্থানে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছে তারাই বিজয় অর্জন করবে।

জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সমন্বয়ক ফাহাদ হক নামের আরেক প্রবাসী ঢাকা মেইলকে বলেন, সারাদিন কাজে ব্যস্ত থাকি। হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও ডাকসু নির্বাচনের খবর রাখছি। কারণ ডাকসু হচ্ছে গণতান্ত্রিক নেতৃত্বের অনুশীলনের ক্ষেত্র। এছাড়াও এবারের ডাকসু নির্বাচনে জাতীয় নির্বাচনেও প্রভাব রাখবে।

শুধু অস্ট্রেুলিয়াতে নয়, বিশ্বের ভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী প্রবাসীদের নজর এখন ডাকসু কেন্দ্রীয় কমিটি ও হল সংসদসমূহের নির্বাচনে।


বিজ্ঞাপন


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আমেরিকায় বসবাসরত পিএইচডি গবেষক মোহাম্মদ রাজন মিয়া ঢাকা মেইলকে বলেন, ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে একটি আনন্দের খবর। ডাকসু নিয়ে শিক্ষার্থীরা অনেক আন্দোলন সংগ্রাম করে।তাই দূর প্রবাসে থেকেও ডাকসু নির্বাচনের খবর নিয়মিত রাখছি।

আক্ষেপ করে তিনি বলেন, দেশে থাকলে সরাসরি বিশ্ববিদ্যায় ক্যাম্পাসে যেতাম। সেখানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করতাম।

ফ্রান্স প্রবাসী মো. কাওছার আহমেদ ঢাকা মেইলকে বলেন, আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ঢাবি ক্যাম্পাস এখন উৎসুক প্রত্যাশায় মুখর। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই নয়, দেশের ১৮ কোটি মানুষ এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরাও আগ্রহভরে এই নির্বাচনের খোঁজ রাখছেন। কারণ ডাকসু শুধু একটি ছাত্রসংগঠন নয়, এটি ভবিষ্যতের জাতীয় নেতৃত্বের প্রস্তুতিপর্ব। দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত এই নির্বাচন ছাত্ররাজনীতির মধ্যে উদার গণতান্ত্রিক চর্চা, স্বচ্ছতা ও ন্যায্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করুক এটাই সবার প্রত্যাশা। এ নির্বাচন শুধু ক্যাম্পাসের নেতৃত্ব নয়, দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি ও আগামী জাতীয় নির্বাচনের আবহেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনেকরি।

ইংল্যান্ড প্রবাসী তাসমিনা বেগম ঢাকা মেইলকে বলেন, ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্ব তৈরির সুযোগ করে দেয় এবং তাদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় কাজ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে। আমি চাই যোগ্য ব্যাক্তিকে যেনো সবাই মিলে যোগ্য স্থানে বসাতে পারে৷ যারা বারবার নিজেদের রুপ পরিবর্তন করে তারা যেনো ক্ষমতায় আসার সুযোগ না পায়।  মনে রাখবেন তারা ভবিষ্যতেও রুপ পরিবর্তন করতে দ্বিধাবোধ করবে না।

এবারের ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে নারী প্রার্থী আছেন ৬২ জন।

কেআর/

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর