বাংলাদেশে গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে প্রবাসীদের প্রত্যাশা, করণীয় এবং প্রবাসীদের অধিকার নিয়ে কানাডার টরন্টোতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান: প্রবাসী জনগণের প্রত্যাশা ও করণীয়’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে পিডিআই কানাডা।
বিজ্ঞাপন
পিডিআই সভাপতি আজফর সৈয়দ ফেরদৌসের সভাপতিত্বে ও মনির জামান রাজুর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় শিক্ষার্থীসহ প্রবাসী নাগরিকরা অংশ নেন।
শিক্ষার্থীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— নুসাইবা নাওয়ার (মেট্রোপলিটন বিশ্ববিদ্যায়), সৃজনী রহমান (পিএইচডি অধ্যয়নরত, ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যায়), সুকন্যা চৌধুরী (টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়), নেইথেন হাসান (টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়), শাদমান হাবিব (ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়)।
নাগরিকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— বিদ্যুৎ রঞ্জন দে, নাসির উদ দুজা, সোলায়মান তালুত রবিন, ইমামুল হক, ভিক্টর গোমেজ, আরিফ মোরশেদ, মিনারা বেগম, কামরান করিম, ড. জান্নাতুল ফেরদৌস, আহমদ হোসেন প্রমুখ।
সভার শুরুতে বাংলাদেশ ও কানাডার জাতীয় সংগীত পরিবেশিত হয়। উপস্থিত সবাই সমবেতভাবে জাতীয় সংগীতে অংশ নেন।
বিজ্ঞাপন
কানাডায় অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী, কানাডায় বড় হওয়া বাঙালি তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিরা সভায় ‘কেমন বাংলাদেশ চাই’ শীর্ষক আলোচনায় অংশ নেন। প্রবাসী নাগরিকরা আলোচনা করেন তাদের প্রত্যাশা, করণীয় এবং প্রবাসীদের অধিকার নিয়ে।
সভায় আলোচনায় যেসব দাবি উত্থাপিত হয়—
১. জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের তালিকা এবং শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন, আহতদের চিকিৎসা, ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
২. শত শত ছাত্র-জনতার হত্যায় ঢালাওভাবে মামলা না করে সুনির্দিষ্ট মামলা এবং বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
৩. রাষ্ট্রীয় সকল ক্ষেত্রে বৈষম্যহীন নীতি গ্রহণ করতে হবে। ধর্ম, বর্ণ, জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে রাষ্ট্রীয় বৈষম্য বন্ধ করতে হবে।
৪. দেশ থেকে পাচারকৃত সকল অর্থ ফেরত আনার ব্যবস্থা করতে হবে। সকল পর্যায়ে দুর্নীতি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. দেশপ্রেম এবং আত্মমর্যাদার নীতিতে ভারত, চীন, আমেরিকাসহ সব দেশের সাথে দেশের পররাষ্ট্র নীতি ঢেলে সাজাতে হবে।
৬. যৌক্তিক সময়ে অবাধ, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ নির্বাচন এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তরের পরিকল্পনা ঘোষণা করতে হবে।
প্রবাসীদের দাবী—
১. বিশ্বের সকল দেশে অবস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের আগামী নির্বাচনেই ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।
২. দেশ থেকে প্রবাসে যাওয়া বা ফেরত আসার সময় সব ধরনের হয়রানি ও বৈষম্যমূলক আচরণ বন্ধ হরতে হবে।
৩. বিদেশে অবস্থিত সকল মিশনে নাগরিকদের সাথে সম্মানজনক এবং পেশাদারি আচরণ নিশ্চিত করতে হবে।
৪. কূটনৈতিক মিশনের সদস্যদেরকে প্রবাসে রাজনৈতিক সভা এড়িয়ে চলতে হবে।
৫. কূটনৈতিক মিশন থেকে কোনোরকম হয়রানি ছাড়া সেবা দিতে হবে।
৬. কূটনৈতিক মিশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট তৈরি, নবায়ন, নো-ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করে প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে।